ওয়েব ডেস্ক: টানা ৫ ঘণ্টার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও শহরতলী (Heavy Rain in Kolkata)। প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি পরিস্থিতি উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় (North and South Kolkata)। এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল শিক্ষা দফতর।
জমা জলে শহরের দিকে দিকে ভয়ঙ্কর ছবি। রেকর্ড বৃষ্টিতে সকাল থেকেই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রীদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। কারণ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় এখনও বন্ধ ট্রেন চলাচল। হাওড়া থেকে বাতিল একাধিক ট্রেন। ময়দান থেকে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। বাসের গতিও ধীর। শহর কলকাতার নানান জায়গায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে সিইএসসি (CESC)-র ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এবারের বৃষ্টি অস্বাভাবিক। শহরে এমন বৃষ্টি এর আগে তিনি দেখেননি।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কলকাতা, কন্ট্রোল রুমে মেয়র ফিরহাদ
মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘মঙ্গলবার রাতের ভারী বৃষ্টি ও আগামী দু’দিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’ অর্থাৎ আগামী দু’দিন রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করল শিক্ষা দফতর। ভারী বৃষ্টি আর এক হাঁটু জল পেরিয়ে আগামী দুদিন আর স্কুল কলেজ যেতে হবে না পড়ুয়াদের।
উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টির জেরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়তে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাসছে চেতলা, সেন্ট্রাল, গড়িয়া, বেহালা, গাঙ্গুলি বাগান সহ উওর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিজের এলাকাতেও জল যন্ত্রনার ছবি ধরা পড়েছে। জমা জল সরাতে মেয়র নিজেও ছাতা হাতে রাস্তায় নেমেছেন। মঙ্গলবার সকলকে বাড়ি থেকে না বেরনোরই পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র। অন্যদিকে, এসএসকেএম, মেডিক্যাল সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে জল ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে।
দেখুন অন্য খবর