ওয়েব ডেস্ক: দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের সেখানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তিনি মিরিকের (Mamata Mirik Visit) একাংশ ঘুরে দেখেন। ওই এলাকায় ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ধসের জেরে ভেঙে পড়া বসতবাড়ি, স্কুল, প্রশাসনিক ভবন দ্রুত মেরামত করে জনজীবন স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। সেখানকারই একটি ত্রাণশিবিরে যান। বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী়। তার পর তিনি যান মিরিকের সুখিয়াপোখরির বিডিও দফতরে।
প্রবল বৃষ্টি এবং ভুটানের জলে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছে রাজ্য। ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের প্রচেষ্টায় বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের সেখানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মিরিক পরিদর্শন সেরে সুখিয়াপোখরিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় এখনও বিভিন্ন এলাকার ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বহু মানুষ। অনেকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ধসের জেরে বন্ধ বেশ কয়েকটি রাস্তা। ত্রাণশিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতির জন্য এলাকার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দিলেন ১ লক্ষ টাকা। জানালেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে ‘গীতা’র আশ্রয়ে বঙ্গ BJP! ব্রিগেডে কী প্ল্যান RSS-এর?
রবিবার বিকেলেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা থেকেল সুভাষিণী চা বাগানে গিয়ে জনসংযোগ সারেন। সোমবার দিনভর নাগরাকাটা এলাকার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, ত্রাণশিবির পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার মিরিক থেকে এদিন সুখিয়াপোখরি যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগে সুখিয়াপোখরিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। পাশাপাশি দ্রুত অস্থায়ী ব্রিজ তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ বুধে হবে রিভিউ মিটিং।
পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মঙ্গলবারই এই ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবে তাঁরা। জিটিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিপুল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের জেরে পাহাড়ে মোট ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী। আলিপুরের ধন্যধান্যে প্রেক্ষাগৃহে হবে সেই অনুষ্ঠান। কার্শিয়ং থেকেই ভারচুয়ালি সেখানে বক্তব্য রাখবেন তিনি। বুধবার দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিল থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক। এদিন রাতেই রওনা দিতে পারেন দার্জিলিং। সেখানে জিটিএ-র কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট নিতে পারেন।
দেখুন ভিডিও