ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা (Peace Message) ছড়াতে চাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবি, তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের (Israel-Palestine Conflict) মধ্যে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) কার্যকর হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে গাজার (Gaza) আকাশ থেকে এখনও আগুন ঝরছে, সেই সঙ্গে ফের শুরু মৃত্যুমিছিল। কোনও জায়গা গোলাবারুদের আঘাত থেকে বাঁচলেও সেখানে পৌঁছচ্ছে না ত্রাণ গাড়ি, যার ফলে সেখানে জিনিষের দাম বাড়ছে লাগামছাড়া। ফলে খাতায়-কলমে শান্তি ফিরলেও গাজাবাসীর দুর্ভোগের দিন যে এখনও শেষ হয়নি, তা মোটামুটি পরিষ্কার।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার একদিনে ইজরায়েলি সেনা গাজা উপত্যকার উপর ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে। এই ভয়াবহ হামলার কথা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) নিজেই জানিয়েছেন। আসলে এক হাতে অস্ত্র নিয়ে অন্য হাতে শান্তির দাবি জানাচ্ছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের এক হাতে অস্ত্র থাকলেও অন্য হাত শান্তির জন্য প্রসারিত। দুর্বলের সঙ্গে নয়, শক্তিশালীর সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্যে ইজরায়েলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে — যুদ্ধবিরতির শর্ত কি সত্যিই মানা হচ্ছে?
আরও পড়ুন: যুদ্ধ ফুরোতেই গাজার বুকে জন্ম নিল সিঙ্গাপুর! কীভাবে? জেনে নিন
এদিকে ট্রাম্পের ২০ দফা শর্ত মেনে গাজায় শান্তি ফেরানোর দাবি সামনে আসার পর থেকেই গাজার বুকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের সফর লেগেই রয়েছে, চলছে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা। এর মাঝে হামাস জানিয়েছে যে, দুই হোস্টেজের দেহ শিগগিরই হস্তান্তর হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেন স্বাভাবিক হতে পারছে না গাজা প্রদেশ। কারণ গাজাবাসীর খিদে মেটানোর জন্য নূন্যতম খাবার নিয়ে যেসব সহায়তা ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা, তার সংখ্যা আশাব্যঞ্জক নয়। এদিকে গাজার উত্তরে প্রবেশও বেশ দুরূহ ব্যাপার। ফলে গাজার বুকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দামে নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালাতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন গাজাবাসী।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় হামাস। দু’বছর ধরে দুই তরফেই চলে হামলা। হিসেব বলছেগত দু’বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সম্প্রতি এই সংঘাত থামানোর দাবি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তারপরেও শান্তি যেন গাজার আশেপাশেই নেই।
দেখুন আরও খবর: