কলকাতা: টলিউডে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। নতুন বছরের টলিপাড়া সেজে উঠতে চলেছে নতুন রূপে। বাংলা ছবির টেকনিশিয়ানদের (Bengali Films Technicians) পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, কাজের সময়সীমা নির্ধারণ এবং ছবিমুক্তির ক্যালেন্ডার তৈরির মতো একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল ইম্পা (Empa) ও ফেডারেশন (Federation) অফ সিনে টেকনিশিয়ানস্ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।
২৯ অক্টোবর, বুধবার ধর্মতলায় ইম্পার অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে যৌথভাবে এই ঘোষণা করেন ইম্পার প্রতিনিধি পিয়া সেনগুপ্ত এবং ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক শিবপ্রসাদ, নিসপাল সিং রানে, অঙ্কুশ, রানা সরকার প্রমুখ। তবে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন দেব ও রাজ চক্রবর্তী। আলোচনার পর অবশেষে ইম্পা ও ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস যৌথভাবে ঘোষণা করল ২০২৬ সালের ছবিমুক্তির নতুন ক্যালেন্ডার এবং টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি কাজের সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ১৮ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে দিনে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ চলত। বাস্তবতা মেনেই এই নতুন কাঠামো তৈরি হয়েছে, যাতে শ্রমের যথাযথ মূল্য দেওয়া যায়। একই সঙ্গে কম বাজেটের ছবির ক্ষেত্রেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে, ৩০ লক্ষ টাকার সীমা নামিয়ে আনা হয়েছে ২৫ লক্ষে, যাতে ছোট প্রযোজক ও স্বাধীন পরিচালকরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকেন।
আরও পড়ুন:‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে…’ কবে মুক্তি পাচ্ছে?
ইম্পা অফিসে এই ঘোষণা ঘিরে উপস্থিত ছিলেন দুই সংগঠনের প্রতিনিধি পিয়া সেনগুপ্ত ও স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নিসপাল সিং রানে, অঙ্কুশ হাজরা, রানা সরকার, গোপাল মদনানি, নীলাঞ্জন দত্ত ও পরিবেশক শতদীপ সাহা। দীর্ঘদিনের কথোপকথনের পর অবশেষে এই ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছনো যায়। নির্দিষ্ট করা হয়েছে বছরজুড়ে ১১টি বিশেষ দিন—যেমন ২৩ জানুয়ারি, সরস্বতী পুজো, পয়লা বৈশাখ, মে মাসের গরমের ছুটি, ঈদ, স্বাধীনতা দিবস, দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও বড়দিন—এই দিনগুলোতেই মুক্তি পাবে বড় বাজেটের ছবি। এক দিনে তিনটির বেশি বড় ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না এবং একটি বড় ছবির মুক্তির পর অন্তত পনেরো দিনের ব্যবধান বজায় রাখতে হবে।
এই বড়দিনেই মুক্তি পাচ্ছে তিনটি ছবি, ‘প্রজাপতি ২’, ‘মিতিনমাসি’ এবং শ্রীকান্ত মোহতা-মহেন্দ্র সোনির নতুন প্রযোজনা। নেতাজি জয়ন্তীতে মুক্তি পেতে চলেছে ‘হোক কলরব’, ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ এবং আরও একটি বড় ছবি। তবে অঙ্কুশ হাজরা ও ফিরদৌসল হাসানের দুটি ছবি বাণিজ্যিক কারণে আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।নতুন এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বছরে ৬টি ছবি বানাবে এসভিএফ, সুরিন্দর ফিল্মস ও নন্দী মুভিজ। বছরে ৪টি ছবি বানাবে উইন্ডোজ প্রোডাকশন, দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন। বছরে ২টি ছবি প্রযোজনা করবেন জিৎ, পিয়া সেনগুপ্ত ও অঙ্কুশ হাজরা।
অন্য খবর দেখুন







