পূর্ব বর্ধমান: ‘এসআইআর আতঙ্কে’ (SIR) আত্মহত্যা। এমনই বিস্ফোরক দাবি জামালপুরের (Jamalpur) এক পরিবারের। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম বিমল সাঁতরা, বাড়ি জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম উড়িষ্যা পাড়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, রোজগারের জন্য বিমল তামিলনাড়ুতে ধানরোয়ার কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে গ্রামে গঞ্জে আতঙ্ক ছড়ানোর পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
পরিবারের দাবি, এসআইআর লাগু হওয়ার পর বিমল বারবার চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর সব কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা, কীভাবে রাজ্যে ফিরে আসবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল দিন দিন। অর্থনৈতিক অনটনও সেই চিন্তাকে আরও তীব্র করে তোলে। শেষমেশ, তামিলনাড়ুর একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই খোদ বারুইপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের
শনিবার সন্ধ্যায় বিমলের মরদেহ পৌঁছয় নিজের গ্রামে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে জামালপুরে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও প্রয়াত শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “এই মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক। ওই পরিযায়ী শ্রমিক এসআইআর আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমরা পরিবারের পাশে আছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় এখন আতঙ্ক ও ক্ষোভ দুই-ই ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে এসআইআর নিয়ে ভয় ও বিভ্রান্তি বাড়ছে। তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
দেখুন আরও খবর: 


                                    




