নয়াদিল্লি: দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে (Delhi NCR) বায়ুদূষণ (Air Pollution) ফের বিপজ্জনক মাত্রায়। রাজধানীর আকাশ ঢেকে ঘন ধোঁয়াশা, বেশিরভাগ এলাকায় বায়ুর গুণমান সূচক (AQI) ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিরাপদ সীমার প্রায় ৩০ গুণ বেশি। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, ত্বকের অ্যালার্জি, সব মিলিয়ে রাজধানীবাসী কার্যত দূষণের কারাগারে বন্দি।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন, দূষণের কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UVB) মাটিতে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে শরীর প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি (Vitamin D) তৈরি করতে পারছে না। এ কারণেই রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই দিল্লির প্রত্যেক বাসিন্দাকে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ! বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, আন্দামান নিকোবরে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডাঃ অম্বরীশ মিত্তল জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস দিল্লি ঘন কুয়াশা ও ধোঁয়াশায় ঢেকে থাকে। এ সময়ে সূর্যের আলো কার্যত অনুপস্থিত, ফলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি ভয়াবহ আকার নেয়। তাঁর পরামর্শ—প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২,০০০ আইইউ, কিশোরদের ১,০০০ আইইউ এবং শিশুদের ৬০০ থেকে ১,০০০ আইইউ ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত।
সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি আছে, পূর্ব ভারতে এই হার প্রায় ৩৯ শতাংশ। চিকিৎসকদের মতে,বায়ুদূষণের ফলে সূর্যালোক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ভিটামিন ডি ঘাটতি এখন এক নীরব স্বাস্থ্য সংকট।
তবে অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণেও সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি কিডনির ওপর চাপ ফেলতে পারে। তবু এই দূষণকালীন সময়ে এটি হয়ে উঠেছে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধের অন্যতম ভরসা।
দেখুন আরও খবর: 


                                    




