ওয়েব ডেস্ক: ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে এক অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতের তৈরি চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2)। যদিও সেই মিশন পুরোপুরি সফল হয়নি। অবতরণের মুহূর্তে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মিশনকে আংশিক ব্যর্থ বলে ধরা হয়। তবুও, সেই সময় মহাকাশে থাকা অরবিটার এখনও সক্রিয় এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে মূল্যবান তথ্য পাঠিয়ে চলেছে পৃথিবীতে। সম্প্রতি এই নভোযানের পাঠানো তথ্য দেখে চাঁদ নিয়ে নতুনভাবে গবেষণা শুরু করলেন ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে পৌঁছেছে চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারের পাঠানো নতুন কিছু হাই-রেজোলিউশন ছবি। এইচব ছবিতে চাঁদের মেরু অঞ্চলের জমাট বরফ, মৃত্তিকা এবং ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার-এর বিজ্ঞানীরা এখন সেসব ছবি বিশ্লেষণ করছেন। তাঁদের আশা, এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানকে আরও সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
আরও পড়ুন: ‘বাহুবলী’র পিঠে চেপে মহাকাশে পাড়ি সবচেয়ে ভারী উপগ্রহের
চন্দ্রযান-২-এর সবচেয়ে কার্যকর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম হল এর ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (DFSAR)। এই রাডারের সাহায্যে সম্প্রতি চাঁদের প্রথম পূর্ণ পোলারোমেট্রিক ছবি পাওয়া গিয়েছে, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন ও প্রকৃতি সম্পর্কে প্রায় নিখুঁত তথ্য দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, রাডারের পাঠানো প্রায় ১৪০০ তথ্যচিত্র বিশ্লেষণ করে তাঁরা চাঁদের দুই গোলার্ধের ভূগঠন, রুক্ষতা, এমনকি সম্ভাব্য জলভাগ সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।
ISRO has come up with advanced data products from the Chandrayaan-2 lunar orbiter for deeper understanding of the lunar polar regions. These include important parameters describing physical and dielectric properties of the Moon’s surface. This is India’s major value addition… pic.twitter.com/5w2eQ4OVky
— ISRO (@isro) November 8, 2025
ইসরোর বিজ্ঞানীদের দাবি, অরবিটারের তথ্য থেকে এখন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে চাঁদের গর্ভে কোন কোন খনিজ পদার্থ রয়েছে এবং তার ভূপ্রাকৃতিক গঠন কেমন। এসব তথ্য ভবিষ্যতের চন্দ্রযান বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ অভিযানের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর:







