রবিউল হোসেন, কোচবিহার: দিল্লি (Delhi) লালকেল্লা (Red Fort) কাণ্ডের আবহে এবার কোচবিহারে (Cooch Behar) এনআইএ (NIA)। গতকাল মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক মইনুল হাসানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। এর পরে কোচবিহারে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দিনহাটার নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দিনা গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে NIA সদস্যদের অতর্কিত হানা দেওয়াকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার আরিফ হোসেন (Arif Hossain) নামে এক ব্যক্তির খোঁজ এই তল্লাশি অভিযান। গতকাল ভোররাতে আচমকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে হানা দেয় ৩ সদস্যের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দলটি আরিফের খোঁজে এখানে আসে। তবে আরিফ হোসেনের শাশুড়ি সাহেরা বিবির চালাকিতে আরিফ হাতেনাতে ধরা পরা থেকে বেঁচে যায়।
তবে NIA সদস্যরা তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। তার বাড়ির লোককে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে যে সিজার লিস্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা, মদদ দেওয়া সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পরবর্তীতে বেরিয়ে যায় NIA সদস্যরা।
আরও পড়ুন- দিল্লি কাণ্ডে নাম জড়াল বাংলার! মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে NIA
আরিফ হোসেনের শ্বাশুড়ি সাহেরা বিবি জানান, আরিফ নয়ারহাট বাজারে কাপড়ের দোকান করে সেইসাথে ঠিকাদারের কাজের সঙ্গেও যুক্ত। সেইসাথে তিনি আর, আরিফ বাংলাদেশি, প্রায় ৫ বছর আগে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ভারতে এসে বিয়ে করে এখানে বসবাস শুরু করেছে। আরিফের বিরুদ্ধে নাকি কালো টাকার কারবারের অভিযোগ রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার সদস্যের কাছে এমনটাই শুনতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে কোচবিহার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই ফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে বলেন, ২০২৩ সালের NIA এর কাছে আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল আর সেটার তদন্তের জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা গতকাল ভোররাতে এসেছিলেন।
এলাকায় হঠাৎ করে NIA আসায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে, তবে গোটা বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।
দেখুন আরও খবর-







