কলকাতা: ২৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল এজরা স্ট্রিটের (Ezra Street) বিধ্বংসী আগুন। লেকট্রিক সামগ্রীর দোকানে বিধ্বংসী আগুন। সেখান থেকে পাশের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়ল আগুন। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে কারণ আশেপাশের সমস্ত দোকানই ইলেকট্রিক সামগ্রীর। বৈদ্যুতিন সামগ্রী থাকায় এবং এসি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রাণপণে চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা, তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ে। শেষে ২৪টি ইঞ্জিনের লাগাতার লড়াইয়ে দশটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। একশোরও বেশি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে।
সিপি মনোজ ভার্মাও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন,আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আশেপাশের বিল্ডিংয়ে সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। কোনও হতাহতের খবর নেই। কোনও বেআইনি কিছু থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা প্রচুর জায়গায় ঘুরে দেখি, রিভিউ মিটিং এ আমরা এই ঘটনা গুলো নিয়ে কথা বলি গতকালও আলোচনা করা হয়েছে। বেআইনি পার্কিং হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে ১৭ নং এজরা স্ট্রিটে। একটি ইলেকট্রিকদোকানের দ্বিতীয় তলে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। প্রথমে আশেপাশের বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, এরপরে দমকলে খবর দেন।সেখান থেকে আশেপাশের একাধিক বাড়ি ও দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তা খুব ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলবাহিনীদের। আগুন মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকলের কর্মীরা গ্যাস কাটার দিয়ে দেওয়াল কেটে বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, “২২ বার আগুন লেগেছে! কাকে বলিনি? কারও টনক নড়ল না”। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। আশেপাশের সমস্ত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দমকলকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন:প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ছাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ, দেখুন কী অবস্থা
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওই বহুতলে বহু বৈদ্য়ুতিন তার অগোছালো ভাবে দেখা গিয়েছে। সিইএসসি, দমকল, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা, পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করব। যাতে বড়বাজারে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন। যাতে দমকল আসতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সকলের। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ,২২ বার আগুন লেগেছে! কাকে বলিনি? কারও টনক নড়ল না”। এও বলেন, “এটা ঘিঞ্জি এলাকা। আগুন লাগার ঝুঁকি নিয়ে বহুবার দমকল, কমিশনার অব পুলিশ সবাইকে লিখেছি। অথচ কোনও সাড়া নেই।
দেখুন ভিডিও







