Tuesday, December 9, 2025
HomeScrollবিজেপির রাজনীতি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের রাজনীতি, বিস্ফোরক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
Priyanka Gandhi

বিজেপির রাজনীতি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের রাজনীতি, বিস্ফোরক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

লোকসভায় ‘অর্ধসত্য’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি প্রিয়াঙ্কার

ওয়েবডেস্ক-  জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ (National song ‘Vande Mataram’) আলোচনা প্রসঙ্গে আজ সংসদ থেকে মোদির সরকারের (Modi Government) তুলোধনা করলেন সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (MP Priyanka Gandhi) । এদিন প্রিয়াঙ্কার বক্তব্যের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল সরকারকের প্রতি তীব্র কটাক্ষ। প্রিয়াঙ্কা এদিন প্রশ্ন তোলেন, জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে সংসদে আলোচনার কী প্রয়োজন আছে? বন্দে মাতরম ভারতবাসীর রক্তে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যা থেকে মনযোগ সরাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আসলে বিজেপির রাজনীতি হল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের রাজনীতি।

সোমবার লোকসভায় জাতীয় গান বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বিতর্কে বা আলোচনায় যোগ দেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, আমরা বন্দে মাতরম নিয়ে কেন এই বিতর্ক করছি? জাতীয় গান নিয়ে কী কোন বিতর্ক থাকতে পারে? এই বিতর্ক আসলে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন।   তাই এই প্রসঙ্গ তুলছে কেন্দ্র সরকার। আর আমাদের এই বিতর্কের সামিল হতে হচ্ছে।

চাঁচাছোলা ভাষায় প্রিয়াঙ্কার আক্রমণ, সাধারণ মানুষ জীবন একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। সেই নিয়ে কেন্দ্র সরকার কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না, যারা দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন তাদের কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে।

আরও পড়ুন-  প্রিয়াঙ্কার তথ্যে কেঁপে গেল বিজেপি! লোকসভায় কী হল? দেখুন ভিডিও

জওহর লাল নেহরু উত্তরসূরী প্রিয়াঙ্কার দাবি, লোকসভায় ‘অর্ধসত্য’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নেহরুর ‘সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের বিরোধিতা’ করার কথা ইচ্ছে করেই চেপে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৩৭ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা জওহরলাল নেহরুর যে ঐতিহাসিক চিঠিটির কথা তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন মোদি। কিন্তু ওই চিঠির বেছে বেছে কিছু অংশ উদ্ধৃত করেছেন তিনি, চিঠির মূল অংশটি গোপন করা হয়েছে।  প্রিয়াঙ্কার আক্রমণ, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, জিন্নাকে খুশি করতে বন্দে মাতরম গাইতে বারণ করেন নেহরু। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কার দাবি করেন, বন্দে মাতরমের ২টি প্যারা বাদ দেওয়া নিয়ে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাবাসাহেব আম্বেদকর থেকে শুরু করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সকলেই বন্দে মাতরমের ২টো প্যারাগ্রাফই গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নেহরুর চিঠি পড়লেন, জবাব নেতাজি কী বলেছিলেন তা কেন পড়ে শোনালেন না?

প্রিয়াঙ্কা বলেন, সামনে বাংলায় নির্বাচন আর নেতাজির কথা শুনবেন না। তিনি বলেন, বন্দে মাতরম নিয়ে নেহেরুর আগে নেতাজি চিঠি দিয়েছিলেন। নেতাজির চিঠির উত্তর দেন নেহরু। তারপরই রবিঠাকুর চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, প্রথম দুই প্যারা থাকলে কোনও সমস্যা নেই।  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালে গানটির প্রথম দুটি স্তবক লিখেছিলেন। ১৮৮২ সালে তিনি আরও চারটি স্তবক যোগ করেন এবং আনন্দমঠ গ্রন্থে এটি প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৬ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রথমবার এটি পাঠ করেছিলেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে একথা উল্লেখ করেননি।

দেখুন আরও খবর-

 

 

Read More

Latest News