ওয়েব ডেস্ক- দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) আবহে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নওগ্রাম থানা। শুক্রবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Ammonium nitrate) বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আহত প্রায় ২৯। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা আশঙ্কা প্রশাসনের। আজ সকাল ১০ টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলিশ DG নলীন প্রভাত। জানা গেছে, নওগ্রাম থানায় (Nowgam Thana) মজুদ রাখা ছিল উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ বলে জানা গেছে।
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই বিস্ফোরক থেকেই ফের বিস্ফোরণ। ফরিদাবাদ থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েকদিন আগে। সেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এনে রাখা হয়েছিল নওগাম পুলিশ স্টেশনে। কারণ ওই থানাতেই এফআইআর দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার রাতে যখন পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম এই বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন, তখনই হঠাৎ করে বিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন- দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে আটক আরও ২ চিকিৎসক
বিস্ফোরণের তীব্রতা এ তটাই বেশি ছিল যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে আশেপাশের বিল্ডিংগুলি কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই আরও পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স ছুটে আসে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরকের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ফরেন্সিক ল্যাবে আগেই পাঠানো হয়েছিল, তবে বড় অংশই পুলিশ স্টেশনে রাখা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ৩০০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে দেহ। পুলিশের অনুমান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যখন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সিল করা হচ্ছিল তখন এই বিস্ফোরণ হতে পারে। এটাই সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। বাজেয়াপ্ত করা একটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরক লাগানো ছিল।
ইতিমধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন প্যাফ (PAFF) দায় স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। বিস্ফোরণের পরই গোটা চত্বর সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ।
দেখুন আরও খবর-







