ওয়েব ডেস্ক: এ বছর অর্থনীতিতে (Economics) নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) পেলেন জোয়েল মোকির (Joel Mokyr), ফিলিপে আঘিয়ন (Philipe Aghion) এবং পিটার হোয়িট (Peter Howitt)। উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে তাঁদের অসাধারণ গবেষণার জন্য তাঁরা এই পুরস্কার পেলেন। দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস এই পুরস্কার ঘোষণা করল ১৩ অক্টোবর, সোমবার। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের তালিকায় এটাই ছিল চূড়ান্ত ঘোষণা।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মোকির, আঘিয়ন এবং হোয়িটকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁদের উদ্ভাবনের সাহায্যে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিকে বিশদে ব্যাখ্যা করার জন্য। এই পুরস্কারের অর্ধেক পেতে চলেছেন জোয়েক মোকির। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলিকে চিনে নেওয়ার জন্য এই পুরস্কার। নোবেলের বাকি অর্ধেক পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিলেন ফিলিপে আঘিয়ন এবং পিটার হোয়িট। ‘সাসটেন্ড গ্রোথ থ্রু ক্রিয়েটিভ ডেসট্রাকশন’ তত্ত্ব আবিষ্কার করায় পুরস্কার পেলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: গোপনে বাড়ছে জ্বালানি তেলের মজুত, যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন?
ডাচ-ইজরায়েলি-আমেরিকান মোকির নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ। স্থবির অবস্থা থেকে স্বনির্ভর অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির পথে সমাজ কীভাবে এগোয় তা ঐতিহাসিক প্রমাণ তুলে ধরে বুঝিয়েছেন তিনি। তাঁর গবেষণা দেখিয়েছে, কোনও সমাজ এবং তার সংস্কৃতি যখন জ্ঞান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উন্মুক্ততার পাশে দাঁড়ায়, ঠিক তখনই সেখানে নিরন্তর প্রযুক্তিগত শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।
‘ক্রিয়েটিভ ডেসট্রাকশন’ তত্ত্বটি তৈরির জন্য কলেজ ডে ফ্রান্সের ফিলিপ আঘিয়ন এবং ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার হোয়িটকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁদের ১৯৯২ সালের গবেষণাপত্রে একটি মডেল উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি চক্রের মাধ্যমে ঘটে যেখানে নতুন উদ্ভাবন পুরানো প্রযুক্তি এবং পণ্যগুলিকে প্রতিস্থাপন করে।
দেখুন অন্য খবর: