ওয়েব ডেস্ক: ‘ব্ল্যাক হোল’ (Black Hole) হল মহাকাশের অন্যতম বিষ্ময়। এখনও অবধি হাতে গোনা কয়েকবারই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ব্ল্যাক হোলের ছবি। তারও বেশিরভাগ অস্পষ্ট। তবে এই মহাজাগতিক কৃষ্ণগহ্বরের বেশ কিছু গতিবিধি টের পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা দেখে চমকে গিয়েছে বিশ্ববাসী। আর এবার নাসা-র (NASA) চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির (Chandra X-Ray Observatory) নজরে এসেছে এক ব্ল্যাক হোলের বড় হওয়ার দৃশ্য। কোয়াসার RACS J0320-35 নামের এই কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের প্রচলিত ধারণাকে কার্যত উল্টে দিয়েছে।
প্রায় ১২.৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের এই ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের জন্মের এক বিলিয়ন বছরেরও কম সময়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই এর ভর প্রায় এক বিলিয়ন সূর্যের সমান। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ব্ল্যাক হোলটি দ্বিগুণ গতিতে গিলছে সব মহাজাগতিক বিষয়কে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, RACS J0320-35-এর প্রতি বছর ৩০০ থেকে ৩,০০০ সূর্যের ভরের সমান পরিমাণ পদার্থ নিজের অন্দরে টেনে নিচ্ছে। এসিকে এই এই ব্ল্যাক হোলের বয়স আনুমানিক ৯২০ মিলিয়ন বছর। প্রচলিত ধারণায় ছোট ব্ল্যাক হোল এত দ্রুত বাড়তে পারে না।
আরও পড়ুন: কীভাবে জন্ম হয়েছিল ‘গ্যাস দানব’ বৃহস্পতির? হাতে এল বিরাট তথ্য
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে এত দ্রুত বাড়ছে এই ব্ল্যাক হোল? এর নেপথ্যে বিজ্ঞানীরা দুটি সম্ভাবনার কথা বলছেন। প্রথমত, অল্প ভরের ব্ল্যাক হোল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সীমার অতিরিক্ত গতিতে পদার্থ গিলেছে। অথবা এটি প্রথম থেকেই বিশাল ভর নিয়ে জন্ম নিয়েছিল, যাকে বলা হয় ডিরেক্ট-কলাপ্স ব্ল্যাক হোল। মহাবিশ্বে ভারী মৌলের ঘাটতি ও বিপুল ঠান্ডা গ্যাসের প্রাচুর্য হয়তো এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছিল।
এই অস্বাভাবিক ব্ল্যাক হোল আমাদের প্রাচীন মহাবিশ্ব বোঝার নতুন জানালা খুলে দিয়েছে। চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি ছাড়াও জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং ভবিষ্যতের এক্স-রে মিশনগুলো থেকে পাওয়া তথ্য হয়তো নির্ধারণ করবে, কোন তত্ত্বের মাধ্যমে এ ধরনের “অকালপক্ব” ব্ল্যাক হোলের জন্ম ও দ্রুত বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
দেখুন আরও খবর: