ওয়েব ডেস্ক: প্রায় সাত লক্ষ দশ হাজার বছর ধরে নিস্তব্ধ থাকার পর চমকা জেগে উঠল ইরানের (Iran) তাফতান আগ্নেয়গিরি (Taftan Volcano)। পূর্ব ইরানের ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। এতদিন এটিকে দেখে মনে হত শুধুমাত্র একটি পাহাড়। তবে সম্প্রতি তাফতানের চূড়া থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে, যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিগানীরাও। কারণ, দিন দিন ফুলে উঠছে এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, যার অর্থ ভেতরে গ্যাসের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
সম্প্রতি এক উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে ইরানের এই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির দৃশ্য। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে তাফতানের শীর্ষভাগ ফুলতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেড়েছে ধোঁয়ার পরিমাণ। এমনকি গত দশ মাসে ওই অঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি ফুলে উঠেছে। সম্প্রতি সেখান থেকে গ্যাস ও ধোঁয়া নির্গমন শুরু হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, খুব শিগগিরই ইরানে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত (Volcanic Eruption) ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা ১৩৬ দিন উঠবে না সূর্য! পৃথিবীতে কি সত্যিই নেমে এল অন্ধকার যুগ?
কেন আচমকা জেগে উঠল ইরানের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি? স্পেনের ইনস্টিটিউট অফ ন্যাচারাল প্রোডাক্টস অ্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাগ্রোবায়োলজির আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গঞ্জালেজ জানিয়েছেন, তাফতানের এই পরিবর্তন বৃষ্টিপাত বা ভূমিকম্পের ফলে হয়নি। তাঁর মতে আগ্নেয়গিরির চূড়া থেকে ১,৬০০ প্রায় ২,০০০ ফুট নিচে ম্যাগমার নড়াচড়া শুরু হয়েছে। তাই তাফতানকে ‘মৃত’ আগ্নেয়গিরির তালিকা থেকে সরিয়ে পুনরায় সক্রিয় শ্রেণিতে ফেলা উচিত বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী।
যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও এই আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার বিষয়ে নিশ্চিত নন। অনেকের মতে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও অতিবৃষ্টির ফলে ভূপৃষ্ঠের নীচের ম্যাগমা চেম্বারে চাপ তৈরি হয়ে থাকতে পারে, যা আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার অন্যতম কারণ। তবে ৭ লক্ষ বছরের নিস্তব্ধতার পর তাফতানের এই পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তায় ফেলেছে।
দেখুন আরও খবর: