নয়াদিল্লি: আমেরিকা (US) এইচ ১বি ভিসা (H+1B Visa) দিয়ে কি কোনও অহংকারে ভোগে? কখনও কর চাপানোর হুঁশিয়ারি। কখনও এইচ ১ বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির আদেশ (Order)। ভারত জানাল, এইচ১ বি ভিসা ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর কড়া মনোভাব থেকে সরে এসে এইচ ১ ভিসার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। এবং জানিয়েছেন, ওই ভিসা না থাকলে টেসলা, স্পেস এক্স হত না। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, একমসয় ওই ভিসাতেই আমেরিকা এসেছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের সহযোগীদের মধ্যে এই নিয়ে অবশ্য মতভেদ দেখা দিয়েছে। টেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই ভিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আবার একে আমেরিকার জন্য বিপদ বলেও মনে করেন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, দুই দেশে অর্থনৈতিক ও প্রয়ুক্তির ক্ষেত্রে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। উভয় দেশের স্বার্থে এটা করা দরকার। ট্রাম্প এইচ ১বি ভিসার জন্য পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। এই ভিসার জন্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও যেতে রাজি বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।
আরও পড়ুন: শাস্তির খাঁড়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ ডোনাল্ড ট্রাম্পের?
অনেক দিন ধরেই এই ভিসা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এই এইচ ১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যান লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী। তার মধ্যে বড় অংশ ভারতের। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকা ফার্স্ট নীতির কথা বলেছিলেন। তিনি এইচ ১বি ভিসার কড়াকড়িতে অর্ডারও দিয়েছিলেন। ফলে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার আমেরিকার ক্ষমতায় ফেরার ঘটনায় এই ভিসা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল। কিন্তু যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর আগামী প্রশাসনের শরিক ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামস্বামী এর স্বপক্ষে মুখ খুলেছেন তাতে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে অনেকের।
দেখুন অন্য খবর: