Sunday, November 2, 2025
HomeScroll"মানুষ স্বইচ্ছায় গিয়েছেন.....মৃত্যুঞ্জয় মেলা", মন্তব্য রাজ্যপালের

“মানুষ স্বইচ্ছায় গিয়েছেন…..মৃত্যুঞ্জয় মেলা”, মন্তব্য রাজ্যপালের

কলকাতা: কুম্ভমেলা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। চলতি বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি। বৃহস্পতিবার সে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা মহামৃত্যুঞ্জয় কুম্ভ। সঙ্গে স্পস্ট করে দেন তিনি রাজ্যপাল হিসেবে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে চান না। তবে, সাধারণ মানুষ হিসেবে এই মেলাকে তিনি ‘ মুক্তি মেলা, মৃত্যুঞ্জয় মেলা’ হিসেবেই অভিহিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মৃত্যুকুম্ভ” মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার রাজভবনে ‘দেবদূতের সান্নিধ্যে’ পুস্তকের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন ছিল। উপস্থিত ছিলেন গোয়ার রাজ্যপাল পিএস শ্রীধরন পিল্লাই, পদ্মশ্রী নগেন্দ্র নাথ রায় ও কেরলের লেখক এ সন্তোষ কুমার। অনুষ্ঠান শেষে মমতার মৃত্যুকুম্ভ মন্তব্য নিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন,” আমি কোন রাজনৈতিক বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে চাই না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তার সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মতামত প্রকাশ করেছেন। এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের গঠন। এই সুন্দর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। তবে আমি যতটুক জানি তার ভিত্তিতে আমি কোন রাজনৈতিক বিতর্কএ অংশগ্রহণ করতে চাই না। তবে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ‘অহম ব্রহ্মাস্মি’।”

গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি কুম্ভ মেলাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে প্রসঙ্গে তুলে তিনি আরও বলেন,”ভারতের মহান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে কুম্ভ সবচেয়ে ভালো জিনিসের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা সমস্ত ভারতীয়দের জন্য গর্বের একটি চিহ্ন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ এখানে স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন। ভারত একটি মহান শক্তি দ্বারা চালিত এবং কুম্ভ আমাদের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। কুম্ভ মেলা মুক্তির মেলা, মৃত্যুঞ্জয় মেলা’। ”

আরও পড়ুন: সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ, দায়ী রাজ্য সরকার, অভিযোগ বিজেপির

উল্লেখ্য, ‘দেবদূতের সান্নিধ্যে’ পুস্তকের আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর পদ্মশ্রী পুরস্কার ভূষিত বিশিষ্ট নগেন্দ্রনাথ রায়। রাজ্যপাল এই বইয়ের বিষয়ে জানান,যখন কোনো রাজ্যপাল কোনো বই লেখেন তিনি তার নলেজ শেয়ার করেন। এটা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। মালয়লয়ম লিটারেচার নিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন। কৃতিক কখনোই বিচার করতে পারেনা ভালো খারাপ কমন রিডার এটা বুঝতে পারে। নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে অনেক সুদূর প্রসারী হয়েছেন। ওনার নিজস্ব চিন্তা ধারা আছে।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News