কলকাতা: ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) মতো সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) ঘটনা আজকাল হামেশাই ঘটে চলেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে কলকাতার চারু মার্কেট থানা (Charu Market Police Station) এলাকায় এক বয়স্ক মহিলা সাইবার প্রতারণার শিকার হন। ডিজিটাল গ্রেফতারির ফাঁদে ফেলে প্রতারকেরা তাঁর কাছ থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগদ ৭৪ লক্ষ টাকা, দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ২৭ বছরের প্রতাপ রায়, ৩১ বছরের উৎপল শিকদার এবং ৩৫ বছরের কুমারেশ হালদারের নাম উঠে এসেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে প্রতাপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, প্রতাপ ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন চালাত। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার ক্রিপটোকারেন্সি। প্রতাপের কাছ থেকেই পুলিশ উৎপল শিকদারের হদিস পায়।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলিশ মেডেল বাংলার ২০ জনকে
উৎপলের বাড়িতে হানা দিয়ে ৭৪ লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারীরা। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৃতীয় অভিযুক্ত কুমারেশ হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, কুমারেশ এই প্রতারণা চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’। যদিও তিনি কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা, তবে দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাটের চিনার পার্কের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। শুক্রবার একটি বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য কৃষ্ণনগরে এলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ এবং সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতারকেরা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে তাঁদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা কিংবা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দেখুন আরও খবর: