Friday, September 5, 2025
Homeলিডচীনের বিজয় দিবসে পুতিন, কিমের সঙ্গে আমেরিকার শত্রু দেশ ইরান

চীনের বিজয় দিবসে পুতিন, কিমের সঙ্গে আমেরিকার শত্রু দেশ ইরান

ট্রাম্পকে চাপে ফেলতেই কী ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে আমন্ত্রণ জিনপিংয়ের?

ওয়েবডেস্ক- ট্রাম্পের (Donald Trump)  শুল্ক নীতিকে (Tariff Policy) মোক্ষম ধাক্কা দিতে এবার আরও কৌশলী নীতি নিয়েছে চীন (China)। চীনে তিয়ানজিনে এসসিও (SCO) সম্মেলনের পর এবার আন্তজার্তিক রাজনীতির চাকা অন্যদিকে ঘুরতে চলেছে। বুধবার চীনের রাজধানী বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজ।

এই আয়োজনে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন (North Korean leader Kim Jong Un) । চীনের (China) মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিজয় দিবসের (Victory Day) এই অনুষ্ঠানে বিদেশের ২৬ জন নেতাকে বেজিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। এছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন পুতিন। আর থাকছেন আমেরিকার শত্রু ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান  (Iranian President Masoud Pajeshkian) ।

চলতি বছরেই ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের ৪৬ তম বার্ষিকীতে তেহরান থেকেই পেজেশকিয়ান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইরান তার সর্বশক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাস্তানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ নেতা খামেনির নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। কখনই বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না। এবার বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে এই তিন নেতার উপস্থিতি কী মার্কিন দুনিয়াকে চাপে ফেলবে? আগে ইরানের তিন পারমাণবিক ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তীব্র আকার নেয়। এই আবহের চীনে পাশে পেজেশকিয়ানের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন- “রাশিয়া নয়, আমাদের পাশে দাঁড়ান,” ভারতকে আর্জি আমেরিকার!

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটনও। ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশের মতে, আমেরিকা-বিরোধী ‘অভ্যুত্থানের অক্ষ’ হিসাবে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এই চার দেশে।

মার্কিন নীতির বিরোধিতা করাই নীতি হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই চার রাষ্ট্রনেতার একত্র কোনও পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসেনি।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পুতিনের উপর চাপ বৃদ্ধির এক কৌশল চলছে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মতে এটি পুতিনের উপর চাও বাড়ানোর কৌশল।

রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চীন। কিন্তু চীনের উপর শুল্ক চাপায়নি মার্কিন প্রশাসন। ভারতের উপর রাশিয়া থেকে তেল কেনার অপরাধে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News