Thursday, August 28, 2025
HomeBig newsচাপে বাংলাদেশ, হাসিনাকে এখনই ফেরাবে না ভারত

চাপে বাংলাদেশ, হাসিনাকে এখনই ফেরাবে না ভারত

নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ( Bangladesh Interim Government) চাপ বাড়ল। হাসিনা(Sheikh Hasina) এখনই ফেরাচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভারত। বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল, হাসিনা ফিরলেই তার উপর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে ইউনুসের কেয়ারটেকার সরকার। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল ভারত।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কূটনৈতিক সূত্রে আজ, বুধবার এই খবর জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আজই আবার বাংলাদেশের অভিবাসন এবং পাসপোর্ট দফতর হাসিনার পাসপোর্টও বাতিল করেছে।

আরও পড়ুন: দেশের মাটি পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ? মুখ খুলল BSF

হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কাজটি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে লোকাল ফরেনার্স রিজিওনাল অফিস (এফআরআরও)। দু’দিন আগেই হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়।

দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারত কিছু জানায়নি, এমনটাই জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন।

শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তি স্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।’

বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রমাণ দিতে হবে যে হাসিনা ওই অপরাধে দোষী। কারণ প্রত্যর্পণ একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তাবলীর মধ্যে ন্যায্যতা ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই মানতে হবে। শেখ হাসিনা যে সময় পালিয়ে ভারত চলে আসেন সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ প্রচেষ্টাকে জটিল করতে পারে।‘

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণের চুক্তি আছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই ২০১৩ সালে চুক্তিটি হয়। ২০১৬ সালে সেটি সংশোধনও হয়েছিল।

দেখুন অন্য খবর:

Read More

Latest News