Tuesday, August 26, 2025
HomeScroll'ঘৃণা ভাষণে'র অপর নাম নীতেশ রানে, মহারাষ্ট্রের বিধায়কের নামে ২০টি এফআইআর

‘ঘৃণা ভাষণে’র অপর নাম নীতেশ রানে, মহারাষ্ট্রের বিধায়কের নামে ২০টি এফআইআর

মুম্বই: রাজনীতিতে বিতর্কিত একটি নাম নীতেশ রানে (Nitesh Rane)। তিনি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি বিধায়ক (Bjp Mla)। তিনি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের পুত্র।

কেন নীতেশ একটি বিতর্কিত একট নাম? কারণ বিতর্ক, উসকানি মূলক  মন্তব্য ছড়ানোর জন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তিনি তাঁর এই বেনজির কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বের কোনও হুঁশ নেই। মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে এমনিতেই নীতেশ চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যই ২০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত দু বছরেই ১৯টি অভিযোগ দায়ের হয়।

নীতেশ মুসলিমদের ‘পাকিস্তানি পিপমস, সবুজ শূকর, সবুজ সাপ’ বলে মন্তব্য করেন। আরও একধাপ এগিয়ে নীতেশের মন্তব্য, তাদের মারধর করা উচিত, হিন্দুদের মুসলিমদের বয়কট করা সব মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার নিদান দেন।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে সমর্থন! মমতাকে ধন্যবাদ জানালেন কেজরিওয়াল

কিন্ত এই বিতর্কিত চরিত্র নীতেশ রানে এখন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ‘ঘৃণামূলক ভাষণ’ নিষেধ, এই নির্দেশ লঙ্ঘন করে নীতেশ বিজেপির ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন।

কখনই তিনবারের মহারাষ্ট্রের বিধায়ক নীতেশ রানের দল কোনও মন্তব্য তোলেনি।

রবিবার পুনে জেলার পুরন্দর তহসিলে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি মন্ত্রী বলেন, “কেরালা মিনি পাকিস্তান’। সন্ত্রাসীরা আগে রাহুল গান্ধীকে ভোট দিয়েছে এবং এখন তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দিচ্ছে।” তার মন্তব্যের জন্য বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া, নীতেশ রানে সোমবার বলেন, কেরালা ভারতের অংশ এবং তিনি শুধুমাত্র দক্ষিণ রাজ্যে হিন্দুদের ধর্মান্তর এবং “লাভ জিহাদ” এর বিষয়গুলি উত্থাপন করছেন।

নীতেশের এই ধরনের মন্তব্যে, মহারাষ্ট্রের সপা নেতা আবু আজমি বলেন, “নীতেশ রানে অত্যন্ত হীন প্রকৃতির মানুষ। ওনার কাজই হল ঘৃণা ভাষণ দেওয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ওনার জন্য এমন একটি মন্ত্রক তৈরি করতে পারেন যার কাজ হবে দেশে ঘৃণা ছড়ানো। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে ঘৃণা ভাষণ ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার। আমাদের সরকার কি নপুংসক হয়ে গিয়েছে? না হলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিত। আবু আজমি জানান, আমি বলব কেরল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য যারা কোনও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয়। এই জন্যই বিজেপি নেতাদের এত কষ্ট হচ্ছে।‘

দেখুন অন্য খবর:

Read More

Latest News