ওয়েব ডেস্ক: শুরু হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক (GST Council Meeting)। চলবে দু’দিন ধরে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্বে এই বৈঠকে মূলত কর কাঠামো সহজীকরণ ও নতুন দুই-স্ল্যাব ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর সম্ভাবনায় সাধারণ মানুষ যেমন আশাবাদী, তেমনই রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বিশেষ বৈঠকে? চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: বিদেশি অভিযুক্তদের পলায়ন নিয়ে কেন্দ্রকে নীতি তৈরির সুপ্রিম নির্দেশ
- (১) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ‘নেক্সট জেনারেশন রিফর্মস’-এর অংশ হিসেবে জিএসটি হারের যুক্তিকরণ নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ উপকর, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা পরিষেবার কর কাঠামো নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
- (২) প্রস্তাবিত নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী মাত্র দুটি কর হার রাখা হবে—৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ। ‘মেরিট’ বা প্রয়োজনীয় পণ্যকে কম হারে রাখা হবে।
- (৩) বর্তমানে চারটি স্ল্যাব আছে—৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ। সরকার ২৮ শতাংশ করের আওতায় থাকা ৯০ শতাংশ পণ্যকে ১৮ শতাংশে নামানোর এবং ১২ শতাংশের একটি বড় অংশকে ৫ শতাংশ স্ল্যাবে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে।
- (৪) জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে ১৮ শতাংশ কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে, তামাকজাত দ্রব্য, বিলাসবহুল গাড়ি ও মদ ‘সিন গুডস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ৪০ শতাংশ করের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেস ও সবুজ শক্তি উপকরের আওতায় আসতে পারে।
- (৫) এই সংস্কার আংশিকভাবে হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ মার্কিনি শুল্কের প্রভাব সামলাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে সরকার।
- (৬) জিএসটি সংস্কারের ফলে দেশের অর্থনীতির গতি বাড়বে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ।
- (৭) স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আয়করে ছাড় ও নতুন জিএসটি কাঠামো মিলিয়ে ৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভোগব্যয় তৈরি হতে পারে, যা জিডিপির ১.৬ শতাংশ।
- (৮) সরকারের দাবি, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যেই এইসব পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: