পূর্ব মেদিনীপুর: সব জেলাকে ছাপিয়ে মাধ্যমিকে পাশের হারে ফের প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur)। এই জেলায় পাশের হার ৯৬.৮৬ শতাংশ। ৭৫ দিনের মাথায় শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam Result) ফলাফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিগত বছরগুলির মত এবারও পাশের হারের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে এগিয়ে।
কয়েকবছর ধরে পাশের হারে গোটা রাজ্য প্রথম স্থান দখল করে আসছে পূর্ব মেদিনীপুর। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ২০২৩ তার ব্যতিক্রম হল না। মাধ্যমিকের সাফল্যের নিরিখে সারা রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাধ্যমিকের পাশের হার ৯৬.৮৬ শতাংশ যা অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটাই এগিয়ে। পাশের হার সর্বাধিক পূর্ব মেদিনীপুরে৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুরের পরে রয়েছে কালিম্পং এবং তৃতীয় স্থানে কলকাতা। ১ থেকে ১০ নম্বরে মোট ১১৮ জন স্থান করেছে। যার মধ্যে চতুর্থ, আষ্টম ও দশম সহ মোট ১১ জন স্থান করে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ছাত্রছাত্রীরা। তবে কলকাতা থেকে কোনও পরীক্ষার্থী এবারে মাধ্যমিক মেধা তালিকায় স্থান পায়নি।
আরও পড়ুন: Basirhat Incident | পটল খেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-ছেলে সহ ৩
তুহিন বেরা ৬৮৯ নাম্বার পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। পাঁশকুড়া রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুলের ছাত্র তুহিন বেরা। তুহিন বেরা জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে। অন্যদিকে তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুলে দশম স্থানে রয়েছে শুভাঞ্জন পাড়ই, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। ছেলের এরকম সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজনেরা। ছেলের সাফল্যের পর খুশিতে মিষ্টি মুখ করান মা ও পরিবারের লোকেরা। শুভাঞ্জন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং হতে চান এমনটাই জানান সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার দেবদত্তা মাজি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। দেবদত্তা পূর্ব বর্ধমানের দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া। মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বর্ধমানের শুভম পাল ও রিফত হাসান সরকার। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে সারভার ইমতিয়াজ, সৌম্যজিৎ মল্লিক ও অর্ক মণ্ডল। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়৷ বেলা ১২টা থেকে ওয়েবসাইট ও এসএমএস মারফত ফলাফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা৷ এদিন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এ বছর মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। ২২ শতাংশ বেশি মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩২১ জন।