কুনাল চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান (জামালপুর)- বর্ধমানের (Burdwan) জামালপুরে (Jamalpur) পোস্ট অফিসে (Post Office) টাকা রেখে লোপাট। এই মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (High Court)।
এতদিন এই মামলার তদন্ত করছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি দেখার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এর পরই এডিজি সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করেন।
আদালতের আরও নির্দেশ, এই মামলার আগের দায়িত্বে থাকা দুই আইওকে সিআইডি এডিজিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই দুই অফিসার এই তদন্তে কি কি পদক্ষেপ করেছেন তাদের থেকে ব্যাখ্যা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৯৪ আসনের সমীক্ষায় রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম
আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করতে হবে জানিয়ে আদালত এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই মামলার তদন্তের জন্য একজন অ্যান্টি করাপসন বিভাগের দক্ষ অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা আবেদনকারী সুরজিৎ পেশায় ফল বিক্রেতা। বাবা রণজিৎ পাল মৃৎশিল্পী। ২০২১ সালে পোস্ট অফিসে দুজনে ১২ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন। ২০২২ সালে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করার জন্য ওই টাকা তোলার চেষ্টা করেন সুরজিৎ। কিন্তু সেই টাকা পেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন পোস্টমাস্টার। এনিয়ে জামালপুর থানায় পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। টাকা না পাওয়ায় অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতেও পারছেন না বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই পুলিশের রিপোর্ট তলব করে আদালত। এদিন সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “লোকের খাটনির টাকা। জমাতে টাকা রাখছে পোস্ট অফিসে, আর তা লোপাট হয়ে যাচ্ছে! পুলিশ কিছুই করছে না। এ ভাবে লোপাট হয়ে গেলে, আর পুলিশ কিছু না করলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে যদি এই ভাবে মানুষ প্রতারিত হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়!”
দেখুন অন্য খবর: