ওয়েবডেস্ক- বিহারের (Bihar) ভোটার তালিকা (Voter List) থেকে নাম বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ বেশি ভোটারের। সংশোধন চলাকালীন নাম তোলার জন্য ৩৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সেইসঙ্গে নাম বাদ দেওয়ার জন্য দুলক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে সুর তুলে ভোটার অধিকার যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের দাবি, ৮৯ লক্ষ অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, কমিশনের কাছে কোনও ভেদাভেদ নেই, সবাই সমান। রাজনৈতিক দলগুলি যে যুক্তি দিচ্ছে, তা অযৌক্তিক।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) (ECI) কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, খসড়া তালিকায় ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা নামগুলি বাদ দেওয়ার জন্য দু’লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিয়োজিত বুথ স্তরের এজেন্টরা এখনও পর্যন্ত খসড়া তালিকা ২৫টি ও বাদ দেওয়ার জন্য ১০৩টি দাবি জমা করেছে। খসড়া ভোটার তালিকা ১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল, আপত্তি দাখিলের সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা ছিল।নির্বাচনী আইনের অধীনে, ব্যক্তি এবং দলগুলি তাদের অযোগ্য বলে মনে করা নাম অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে অথবা খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া যোগ্য ভোটারদের যোগ করার জন্য অনুরোধ করতে পারে।
আরও পড়ুন- মহিলা বিচারপতি নিয়োগে অনাগ্রহ কেন? ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন
নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য চারটি প্রধান কারণের কথা বলেছে। এর মধ্যে ২৫ লক্ষের নাম অভিবাসনের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, ২২ লক্ষকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ৯.৭ লক্ষকে তাদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি এবং একাধিক নির্বাচনী এলাকায় নাম থাকার কারণে সাত লক্ষের নাম বাতিল করা হয়েছে। কমিশন দাবি করেছে, বিহারের ৭.২৪ কোটি ভোটারের ৯৯.১১ শতাংশ এসআইআর প্রক্রিয়ায় যাচাইয়ের জন্য তাদের নথি জমা দিয়েছেন।
নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assemble Election) হওয়ার কথা। তার আগে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারে কমিশন।
দেখুন আরও খবর-