পূর্ব বধমান (আউসগ্ৰাম), সেখ আব্বাস আলী- পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলার আউসগ্রাম (Ausgram) এক ব্লকের দিগনগর গ্রামে এখনও আঁকড়ে আছে এক অনন্য ঐতিহ্য। সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি পুরনো এই পুজো রায় বাড়ির জমিদারি আমল থেকে চলে আসছে। অন্যত্র দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর আরাধনা হলেও, দিগনগরের রায় বাড়ির পূজায় পূজিত হন দেবী দুর্গার ছিন্নমস্তা রূপ (chinnamasta) সঙ্গে তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া।
এই পুজোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল- দেবীর মূর্তি আগে থেকে গড়া হয় না। মহালয়ার পর বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই গড়া শুরু হয় দেবী দুর্গার ছিন্নমস্তা প্রতিমা। জমিদারি প্রথা অনুযায়ী এক আসনেই হয় পুজো। চাকচিক্যের রঙিন আবহ অন্যত্র থাকলেও এখানে আজও একই নিষ্ঠা, একই প্রাচীন রীতি মেনে পূজিত হন দেবী।
আরও পড়ুন- চায়ের আড্ডা থেকে দুর্গাপুজোর ভাবনা খাটুয়া বাড়ির! দশমী নয়, বিসর্জন হয় দ্বাদশীতে
রায় বাড়ির পুজোর আরেকটি বিশেষ দিক হল ভোগ। প্রতিবারই লুচি ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীর উদ্দেশে। পুজো উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে, এমনকি বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যরাও দিগনগরে ফিরে আসেন। তাই এই পুজো শুধু দেবীর আরাধনাই নয়, হয়ে ওঠে রায় পরিবারের মিলনমেলা।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভক্তির সঙ্গে পালিত হচ্ছে এই ছিন্নমস্তা দুর্গার পুজোয়া। আধুনিকতার ভিড়েও দিগনগরের রায় বাড়ি আজও বহন করে চলেছে জমিদারি প্রথার সেই আবেগ, সেই অনন্য ঐতিহ্য।
দেখুন আরও খবর-