ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে মনে হয়েছিল অঘটন (Meghalaya Missing Couple)। মেয়ে বেঁচে আছে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় বদলে গিয়েছে গোটা ঘটনার মোড়। ভাড়াটে খুনিদের সুপারি দিয়ে জামাইকে খুনের অভিযোগে মেয়ে সোনমকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গত কয়েকদিন ধরে মেঘালয়ে দম্পতির নিখোঁজ কাণ্ডে অবিশ্বাস্য পালাবদল। প্রেমিকের জন্যই কি স্বামীকে খুনের ছক কষেছিলেন সোনম রঘুবংশী? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না (Meghalaya Missing Couple in honeymoon)।
হানিমুনে গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে ১৭ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সোনম। সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। এবার ঘটনার তদন্তে উঠে এল নয়া সূত্র। জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন সোনাম। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সে কারণেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছেন ওই তরুণী!
আরও পড়ুন: টেরিটোরিয়াল আর্মিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! গ্রেফতার ৩
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনমকে জিজ্ঞেসাবাদের পর উঠে এসেছে রাজ কুশওয়াহা নামের এক যুবকের নাম। রাজার সঙ্গে বিয়ের পরেও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন ওই তরুণী। ২০ মে নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যান। সমস্ত পরিকল্পনা হয়েছিল আগেই। পরিকল্পনা মাফিক ২৩ মে স্বামী রাজাকে খুন করান তিনি। তারপর গা ঢাকা দেন নিজেও।
ঘটনার সতেরো দিন পর আত্মসমর্পণ করেছেন ওই তরুণী। সোনাম ছাড়াও রাজা হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। উত্তরপ্রদেশ ও ইন্দোর থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মে ইন্দোররের বাসিন্দা রাজা এবং সোনমের বিয়ে হয়। পরদিন মেঘালয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন নবদম্পতি। ২৩ মে সোহরার একটি হোমস্টেতে শেষবার তাঁদের দু’জনকে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার ১১ দিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। মেলে রক্তমাখা দা এবং বর্ষাতিও। কিন্তু সোনম নিখোঁজ ছিলেন। ক্রমশ দানা বাধছিল রহস্য। এমনকী, সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও মনে করছিলেন কেউ কেউ! সেই আবহেই খোঁজ মিলল সোনমের। উঠে এল স্বামী খুনে নয়া তত্ত্ব।
দেখুন আরও খবর: