সোনারপুর: চকলেট বোমা নিয়ে রক্ত গরম! স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গৃহবধূর উপর নৃশংস হামলা, গোপন অঙ্গে হাত। ঘটনার কথা থানায় জানালে ধর্ষণের হুমকি! সোনারপুরে (Sonarpur) চকলেট বোমা ফাটানোকে কেন্দ্র করে বচসা গড়াল রক্তাক্ত সংঘর্ষে। মার খেতে হলো স্বামীকে, প্রতিবাদ করায় নারকীয় অত্যাচারের শিকার হলেন স্ত্রী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
রাতের অন্ধকারে চকলেট বোমার শব্দে শুরু, শেষ হল এক গৃহবধূর মরিয়া আর্তনাদে! ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ, সোনারপুর থানার অন্তর্গত এলাকায়। অভিযোগ, বাড়ির সামনে চকলেট বোমা ফাটানো নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। মুহূর্তে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। স্বামী আক্রান্ত হলে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে ঘিরে ধরে একাধিক পুরুষ ও মহিলা মিলে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার গোপন অঙ্গ স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার নৃশংসতা এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ‘ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে জরুরি বৈঠক
বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, মানসিক অবস্থাও ভীষণ দুর্বল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন, রাতের অন্ধকারে এতবড় পাশবিকতা ঘটলেও প্রশাসন নীরব কেন? স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত আনন্দ মোহন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বেপরোয়া আচরণ করে আসছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। নির্যাতিতার পরিবারের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, দ্রুত গ্রেফতার না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। পুরো এলাকা এখন উত্তেজনায় ফুঁসছে, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অন্য খবর দেখুন







