ওয়েব ডেস্ক: কেরলে অ্যামিবা (Kerala) আতঙ্ক। মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভ কুরে কুরে খাচ্ছে ‘অ্যামিবিক মেনিনজোএনসেফালাইটিস’ (Amoebic Meningoencephalitis) রোগটি। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ জোরদার করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়ন।
ইতিমধ্যেই নতুন করে ১৮ জনের শরীরে এই সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। আক্রান্তরা তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, কোঝিকোড, ওয়ানাড় এবং মালাপ্পুরম জেলার বাসিন্দা বলে খবর মিলেছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই রোগে ৪১ আক্রান্ত হয়েছেন।
জলবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে একটি নতুন অভিযানে হাঁটছে চলেছে কেরল সরকার (Kerala Government)। অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কূপগুলিতে ক্লোরিন মেশানো হবে। এই রোগ প্রতিরোধে জল পরিস্কার রাখা খুবই জরুরি। কারণ সাধারণত জল থেকেই ছড়ায় এই রোগ। পাশাপাশি, কেরলের বাড়ি ও সরকারি, বেসরকারি অফিসে জলাধার পরিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বহুতল ভেঙে মৃত কমপক্ষে ৩, আটকে প্রায় ১০
অন্যদিকে, রাজ্যের স্কুলগুলিতেও জল পরিস্কার রাখতে সচেতনতা প্রচার করা হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে অ্যামিবা সাধারণত কূপ, অপরিচ্ছন্ন জলাধার, দূষিত পুকুর এবং নদীতে পাওয়া যায়। নোংরা জলে সাঁতার কাটলে, সেই জল পেতে গেলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সেই জল থেকে ভাইরাস নাক এবং মুখ দিয়ে এই অ্যামিবা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। তারপরেই মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভে আক্রমণ করে অ্যামিবাটি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গগুলি সাধারণ ব্যাকটিরিয়াল মেনিনজাইটিসের মতো হওয়ায় ধরা পড়তে সময় লাগে। তাই রোগীকে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এতে আক্রান্ত হলে জ্বর, কাশি, পেট খারাপের মতো উপসর্গ দেখা যায়। তবে সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে।
দেখুন অন্য খবর