কাকদ্বীপ: গভীর সমুদ্রে (Deep Sea) একাধিক ট্রলারকে (Trawler) ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বাংলাদেশের নেভির বিরুদ্ধে। গভীর সমুদ্রে একাধিক ট্রলারকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশি উপকূল রক্ষী বাহিনী (Bangladesh Coast Guard) । এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সমুদ্র থেকে ফিরে আসা মৎস্যজীবীরা (Fisherman)। তাঁদের অভিযোগ, ভারতীয় জল সীমানার ভিতরে ঢুকে বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী অত্যাচার শুরু করেছে। ট্রলার গুলিকে দেখে পাথর ও ইট ছুড়ে মারা হচ্ছে। এমনকি বল্লম ছুড়ে মারছে।
এদিন প্রথমে বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী জাহাজ নিয়ে এফবি মা মঙ্গলচন্ডী নামক একটি ট্রলারকে ধাক্কা মেরেছিল। কিন্তু সেটিকে ডুবিয়ে দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ওই ট্রলারের এক মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের নৌ বাহিনী আঘাত করে জখম করে দেয়। তারপরই ওই জাহাজটি এফবি পারমিতা ১১-র এক মৎস্যজীবীকে বল্লম ছুড়ে মেরে ফেলে। তারপরই ওই ট্রলারটির পাশে ধাক্কা মেরে সেটিকে ডুবিয়ে দেয়। এই বিষয়টি মৎস্যজীবীরা তাঁদের সংগঠনকে জানিয়েছেন।
ভারতীয় জলসীমায় কীভাবে এল বাংলাদেশি নৌবাহিনী? কেন এই হামলা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করছেন, বল্লম দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে! ওই মৎস্যজীবী নিখোঁজ। তাহলে কী এটি হামলা, না কি খুনের উদ্দেশ্য ছিল?
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীর হোস্টেলে নিম্নমানের খাবার! থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ ছাত্রীদের
মৎস্যজীবী হরবন্ধু দাস জানিয়েছেন, সোমবার তখন ভোর চারটে। কিছুটা দূরে গিয়ে জাল পেতে ফিরে আসছিলাম। তখনই আলো নিভিয়ে ভারতীয় জলসীমায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ আমাদের ধাওয়া করে। ইচ্ছে করেই আমাদের ট্রলারে ধাক্কা মারে। জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে গেলে আমরা গভীর সমুদ্রে ভাসছিলাম। রূপবতী ট্রলার মাঝি-সহ আমাদের ১১ জনকে উদ্ধার করে ওই ট্রলারে তুলে নেয়।” অপর এক মৎস্যজীবী
উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবী রাখাল দাস জানান, “ভারতের জলসীমার মধ্যে থেকেও বাংলাদেশ নৌবাহিনী আমাদের উপর হামলা চালালো। ১১ জন ফিরলেও পাঁচজন ফিরতে পারল না। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ’।
দেখুন আরও খবর-







