ওয়েবডেস্ক- নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ অনুযায়ী বাংলায় আজ থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর (SIR)। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর একমাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে। তিনবার বিএলও-রা (BLO) ভোটারদের (Voter) বাড়িতে যাবেন এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) দিতে। বিএলও-দের এই কাজে উৎসাহ দিতে উৎসাহ ভাতা (Incentive allowance) দেবে রাজ্য সরকার। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, সিইও দফতর থেকে ইতিমধ্যে রাজ্য অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বিহার নির্বাচনেও (Bihar Election) বিএলও-দের এই উৎসাহ ভাতা বা ইনসেনটিভ দেওয়া হয়েছে। আগেও বিএলওদের উৎসাহ ভাতা দেওয়া হত। আগে তারা পেতেন ৬ হাজার টাকা, এখন তা বৃদ্ধি করে করানো হয়েছে ১২ হাজার টাকা। যদিও তাঁদের দাবি, ফোন কেনা আর ডেটা ব্যয়ের তুলনায় এই অর্থ যথেষ্ট নয়। এর মধ্যে ফোনের খরচ বাবদ এক হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)। চাকরির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার এসআইআর-তাদের বিএলও করার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন একাংশ। তাদের এই বিষয়ে কলকাতার একটি প্রশিক্ষণ শিবিরেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। একাংশের অভিযোগ, এসআইআর করার সময়ে নিজেদের মোবাইল থেকে ডেটা খরচ করে ভোটারদের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। আবার অনেকের বক্তব্য তাদের স্মাট ফোন ছিল না, তাদের কিনতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-
কমিশন সূত্রে খবর, উৎসাহ ভাতা হিসাবে বিএলও-দের ছ’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তার মধ্যে মোবাইলের খরচ হিসেবে ১০০০। বিএলও-রা প্রতি বছর ভোটার তালিকা পর্যালোচনা কাজে ৬ হাজার টাকা পেতেন। SIR-এর কাজে সেই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। অক্টোবরের পরে প্রতি বছর সামারি রিভিশনের কাজ চলত। আর বিএলও-দের কাজ চলত প্রায় ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রায় দুমাসের জন্য ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা। এবার এ বার এসআইআরের কাজের জন্য সেই খরচ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তার মধ্যেই মোবাইলের খরচও যোগ করা হয়েছে। ওই এক হাজারের সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা যোগ করে মোট ছ’ হাজার টাকা ইনসেনটিভ পাবেন বিএলও-রা।
দেখুন আরও খবর-







