ওয়েব ডেস্ক : তন্ত্রসাধনার নামে মা ও মেয়েকে খুন (Murder)। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভুমে (Birbhum)। এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ সাব্বক রাসিদির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দেন, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করবে অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, বীরভূম (Birbhum) জেলার মোল্লারপুর থানার বাসিন্দা সুনীল দাস। এলাকায় তিনি একজন তান্ত্রিক হিসাবেই পরিচিত। পূজোর নামে তন্ত্রসাধনার অজুহাতে এক মহিলা ও তার মেয়ে ওই তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ এবং খুনের মতো অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত তান্ত্রিককে।
আরও খবর : দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এল পদ্মার ইলিশ, কত দাম জানেন?
অন্যদিকে, এই ঘটনায় প্রথমে মহিলার স্বামীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃতার স্বামীর কোনো ভূমিকা নেই। সমস্ত অপরাধের দায় সুনীল দাসের। এরপর বীরভূম (Birbhum) আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুনীল।
এ নিয়ে দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড মকুব করে অভিযুক্ত তান্ত্রিকের। তবে ওই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ সাব্বক রাসিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
দেখুন অন্য খবর :