কলকাতা: আদালতে রাজ্যের দুই প্রশাসনিক প্রধান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর লড়াই নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের পরামর্শ, আদালতে লড়াই না করে দু’পক্ষ ‘চায়ে পে চর্চা’য় বিষয়টি মিটিয়ে নিক। এই দৃষ্টান্ত কারও জন্যই সুখকর নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) করা মামলায় এমনই মন্তব্য করল বিচারপতির। বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যে দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। জয়ী বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল বনাম বিধানসভার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের আইনজীবী হলফনামা দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত সময় চান।
আরও পড়ুন: ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের স্মারকলিপি
বিচারপতির মন্তব্য, “আরও সময় চাইছেন? মামলাটি নিয়ে আপনি সিরিয়াস তো? মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী কল্যাণের বলেন, “এমনিতেই রাজ্যপাল রক্ষাকবচ পান। রাজ্যপালের এই ধরনের পদক্ষেপের কথা সংবিধান রচয়িতারা চিন্তা করেননি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দু’পক্ষকে আদালতের বাইরে বসে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেয়। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, একটা ‘চায়ে পে চর্চা’য় সমস্যা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সওয়াল, আদালতের এই পরামর্শ নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই। বিষয়টি নির্দেশনামায় উল্লেখ করা হলে ভাল হয়। বিচারপতি বলেন, এখন মৌখিক পরামর্শ দেওয়া হল। দরকার পড়লে পড়ে নির্দেশ দেওয়া হবে।
অন্য খবর দেখুন