ওয়েব ডেস্ক : এবার ইউনেস্কো-র (UNESCO) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা (World Cultural Heritage) পেল দীপবলি বা দিওয়ালি (Diwali)। এই আলোর উৎসবকে ভারতের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বা ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি (Intangible Cultural Heritage of Humanity) হিসেবে তকমা দেওয়া হয়েছে। বুধবার এমনটাই ঘোষণা করা হয়ছে ইউনেস্কোর তরফে।
‘দিওয়ালি’ আবার ‘দীপাবলি’ (Diwali) হিসেবেও পরিচিত। এটি হল হিন্দুধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের সঙ্গে পালিত উৎসবগুলির মধ্যে একটি। এটিকে ‘আলোর উৎসব’ও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এই উৎসব পালন করে থাকে। অক্টোবরের শেষের দিকে অথবা নভেম্বর মাসে অমাবস্যার তিথিতে এই উৎসব হয়ে থাকে। এর আগে যোগ, কুম্ভ মেলা এবং কলকাতার দুর্গাপুজো এই মর্যাদা পেয়েছে।
এ বছর ‘দীবাবলি’ বা ‘দিওয়ালি’ ছাড়া যে ঐতিহ্যগুলি ইউনেস্কোর তালিকায় জায়গা পেয়েছে, সেগুলি হল…
1. মিসরের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড ‘কোশারি’
2. ইরাকে রমজান মাসে খেলা হয় ‘আল-মুহাইবিস’
3. ইথিওপিয়ার ওলাইটা সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব ‘গিফাতা’
4. সাইপ্রাসের প্রাচীন মদ ‘কম্যান্ডারিয়া’
5. ঘানার ‘হাইলাইফ’ সংগীত ও নৃত্য
6. চিলির সার্কাস সংস্কৃতি
7. আইসল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সুইমিং পুল সংস্কৃতি
8. ইতালির রান্না
আরও খবর : অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পৃথক জরুরি সড়কের দাবি জয়ার
জানা গিয়েছে, দিল্লির লালকেল্লায় ইউনেস্কোর (UNESCO) একটি সভা হয়েছে। সেখানেই দীপাবলিকে তাদের অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটি ভারতের কাছে হল একটি গর্বের মুহূর্ত।
এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) লিখেছেন, “ভারত এবং বিশ্বের মানুষ আনন্দিত। আমাদের কাছে, দীপাবলি আমাদের সংস্কৃতি এবং নীতির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এটি আমাদের সভ্যতার আত্মা। এটি আলোকসজ্জা এবং ধার্মিকতার প্রতীক। ইউনেস্কোর অস্পষ্ট ঐতিহ্যের তালিকায় দীপাবলির সংযোজন এই উৎসবের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। প্রভু শ্রী রামের আদর্শ চিরকাল আমাদের পথ দেখাবে।”
অন্যদিকে বর্তমানে ভারতের ১৫টি স্থান ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গাপুজো, কুম্ভমেলা, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, রামলীলা এবং ছৌ নৃত্য হল অন্যতম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে দিওয়ালি বা দীপাবলিও।
দেখুন অন্য খবর :







