নয়াদিল্লি: এবার গোটা দেশে এসআইআর ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামিকাল থেকে বাংলায় শুরু হবে SIR, ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar) বললেন,দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্যে হবে এসআইআর। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও (SIR West Bengal)। আন্দামান ও নিকোবর, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, গোয়া, কেরল, লাক্ষ্মাদ্বীপ, মধ্য প্রদেশ, পুঁদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আগামিকাল থেকে শুরু SIR।’
কমিশন জানিয়েছে, যে সকল রাজ্যে তাঁরা এসআইআর ঘোষণা করতে চলেছে। সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল বৈঠকে বসবে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, আগামিকাল থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বাড়ি-বাড়ি এনুমেরাশেন ফর্ম দেওয়ার ও জমার কাজ। ৯ ডিসেম্বর সেই ফর্মের ভিত্তিতে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ওই দিন থেকে টানা ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ সাল পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে অভিযোগ, আবেদন। পাশাপাশি কমিশন আরও জানায়, অযোগ্যদের নাম যাতে তালিকায় আর কোনওভাবে না ঢোকে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ERO-দের। কম্পিউটার ম্যাচিং ও ম্যাপিংয়ের পর ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।
আরও পড়ুন: SIR নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বড় ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
জ্ঞানেশ কুমার বললেন, ‘বাংলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উচিত নিজের দায়িত্ব পালন করা। ঠিক যেমন ভাবে নির্বাচন কমিশনার নিজের কাজ করছে। ঠিক সেই ভাবেই রাজ্য সরকারকেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ জ্ঞানেশ জানিয়েছেন, ১৯৫১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশে এসআইআর হয়েছে আট বার। ২১ বছর আগে শেষ বার এসআইআর হয়েছে— ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাংলার ২০০২ সালের তালিকা এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে— দু’টির মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলে গেছে। রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এখন ৭.৬ কোটি, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ভোটারের তথ্য মিলছে না।
কোন কোন নথি লাগবে
১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র।
২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি।
৩) জন্ম শংসাপত্র।
৪) পাসপোর্ট।
৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র।
৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র।
৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট।
৮) জাতিগত শংসাপত্র।
৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার।
১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার।
১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।
১২) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেখানো যাবে।
দেখুন ভিডিও







