ওয়েবডেস্ক- দিল্লিতে (Delhi) সবুজ বাজি পোড়ানোর (Green Fireworks) আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supeme Court) দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (Cm Rekha Gupta)। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনে সম্মতি দেয়। সেই সঙ্গে বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না, ছাড়িয়ে গেল দূষণের মাত্রা। দিল্লির বাতাসে (Delhi Pollution) ক্রমশই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এবার সুপ্রিম কোর্টের দিকেই আঙুল তুললেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত (Ex-NITI Aayog CEO Amitabh Kant) । তিনি বলেন, মানুষের জীবনের থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে বাজি পোড়ানো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানায় বায়ু মানের সূচকের (এআইকিউ) ৩৪৪, যা অত্যন্ত খারাপ। যা রাত ১০ টা নাগাদ রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দিকে আঙুল তোলেন অমিতাভ কান্ত।
অমিতাভ কান্ত, ভারতে ২০২৩ সালের G20 শীর্ষ সম্মেলনের শেরপা এবং নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও। দিল্লির এই দূষণে উদ্বেগ প্রকাশ করে কান্ত রাজধানীকে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন।
কান্ত বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট তার প্রজ্ঞা অনুযায়ী, বেঁচে থাকার এবং শ্বাস নেওয়ার অধিকারের চেয়ে আতশবাজি পোড়ানোর অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।”
আরও পড়ুন- দিল্লির দূষণ নিয়ে BJP-কে নিশানা AAP বিধায়কের! কী বললেন দেখুন
দিল্লির রেখা সরকারের আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিলেও সময় বেঁধে দেয় । সকাল ৬ টা থেকে ৭ টা ও রাত ৮ থেকে ১০ টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দেয়। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেও দিল্লি-এনসিআরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আতশবাজির তাণ্ডব চলতে থাকে।
দিল্লির বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে: ৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬টি ‘রেড জোনে’ পৌঁছেছে, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে AQI ৪০০-এর উপরে। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট তার প্রজ্ঞা অনুসারে, বেঁচে থাকার এবং শ্বাস নেওয়ার অধিকারের চেয়ে বাজি পোড়ানোর অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। দিল্লি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীগুলির মধ্যে একটি। যদি লস অ্যাঞ্জেলেস, বেইজিং এবং লন্ডন তা করতে পারে, তাহলে দিল্লি কেন পারবে না? কঠোর নিয়মই দিল্লিতে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
দেখুন আরও খবর-