কলকাতা: দিনেদুপুরে ভয়ংকর কাণ্ড বরানগরে (Barahanagar Murder)। জনবহুল এলাকার সোনার দোকানের মধ্যেই খুন দাসপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী। দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে মালিককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরানগর থানার পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দোকান ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের হদিস পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
মৃত ব্যবসায়ীয়ের নাম শঙ্কর জানা। বাড়ি দাসপুরের বেলিয়াঘাটা বৌদ্যপুর এলাকায়। শনিবার বন্ধ দোকান খুলতেই উদ্ধার হাত-পা বাঁধা মালিকের দেহ। জানা যাচ্ছে মৃতদেহের গলায় এবং মাথায় ধারল অস্ত্রের দাগ আছে। অনুমান করা হচ্ছে খুনের। পুলিশের অনুমান,ক্রেতা সেজে ৬ জন দোকানে ঢোকেন। গয়নাগাটি দেখতে গিয়ে লুটপাট শুরু করে বলে অভিযোগ। তা বুঝতে পেরে বাধা দেন শংকরবাবু। যে সময় ওই ব্যক্তি দোকানে একা ছিলেন সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা খুন করে থাকতে পারে তাঁকে। প্রথমে শংকরবাবুর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে তাঁকে নাস্তানাবুদ করে দেওয়া হয়। এরপর মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। তাতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান শংকরবাবু। এরপর দোকানের গয়না লুট করে শাটার নামিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোয় মেট্রো পরিষেবায় কী পরিবর্তন, দেখুন বড় খবর
উলটোদিকের বাড়ির সামনে যে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, তাতে ওখানকার লোকজন দেখতে পান যে কয়েকজন দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আর দোকানের সামনে কিছু লোক আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পাশের দোকানের মালিককে জানান। উনি গিয়ে দেখেন, দোকান ঘরের ভিতর শংকর জানা পড়ে রয়েছেন। বরানগর থানা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে খুন। ঘটনায় কারা জড়িত? ইতিমধ্যে পরিবারের এক সদস্য রওনা দিয়েছে কলকাতায়, মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রেকি করে তবেই এই দোকানে লুটের উদ্দেশে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। দোকান ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের হদিস পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
দেখুন ভিডিও
