ওয়েব ডেস্ক: ফের দুর্যোগ হিমাচলে (Himachal Pradesh)। অতিভারী বৃষ্টিতে (Very Heavy Rain) বানভাসি পাহাড়ি রাজ্য। মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ধসের কবলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ক্ষতিগ্রস্থ বহু ঘরবাড়ি। দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে রাজ্যের ১,৩৩৭টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে অবরুদ্ধ ৪ টি জাতীয় সড়ক।
তবে এখনই বৃষ্টির দাপট থেকে রেহাই মিলছে না। আজ বুধবারও ভারী বৃষ্টি চোখ রাঙাচ্ছে হিমাচলের বেশ কয়েকটি জেলায়। তালিকায় রয়েছে কাংগ্রা, মাণ্ডি, সিরমৌর এবং কিন্নর জেলা। এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পাশাপাশি, উনা ও বিলাসপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টির দাপট বাড়লে এই জেলা গুলিতেও ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠক, কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা?
সূত্রের খবর, বন্যায় বিধ্বস্ত হিমাচলে বাড়ি চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন সোলানের সামলোহ গ্রামের এক মহিলা। আবার কুল্লুর ঢালপুরে বাড়ি ভেঙে চাপা পড়েন এক স্বামী-স্ত্রী। অন্যদিকে, মাণ্ডি জেলার সুন্দরনগরে ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কায় এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার কাজ জারি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বুধবার শিমলা, কাংগ্রা ও সিরমৌরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শিমলার প্রশাসক অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছেন, অতিভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মানালির ৯টি গ্রাম জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে। মাণ্ডির দু’টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের ১,৩৩৭টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তালিকায় রয়েছে মাণ্ডির ২৮২, শিমলার ২৫৫, চাম্বার ২৩৯, কুল্লুর ২০৫ এবং সিরমৌরে ১৪০টি রাস্তা। আবার শিমলা-কালকা জাতীয় সড়ক, চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর