ওয়েব ডেস্ক : আধুনিকতার যুগেও অটুট প্রাচীন রীতি। বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়েরের বামেরা গ্রামে বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদার বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja) আজও হয় হ্যাচাক লাইটের আলোয় (lantern light)। বিদ্যুতের আলো এখানে নিষিদ্ধ। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজোয় এখনও মানা হয় জমিদারি আমলের সকল রীতি।
মাটির ঘরে টিনের ছাউনি দেওয়া বাড়িতে বসে দেবীর পুজো। ভাঙাচোরা টেরাকোটার প্রাচীন মন্দির আজও স্মৃতি বহন করছে সেই জমিদারি ঐতিহ্যের। পরিবার সদস্যরা পুজোর ক’দিন থাকেন অস্থায়ী ছাউনিতে। জমিদার আমলে যেমন পাহারা দিতেন বন্দুক নিয়ে, আজও ঠিক তেমনভাবেই পরিবারের লোকেরা কাঁধে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেন মা-কে।
আরও খবর : নাম নেই সহ-সভাধিপতির! ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল নদিয়ায়
এ নিয়ে পরিবারের সদস্য অরুপ ব্যানার্জী বলেছেন, দীর্ঘ সাড়ে তিনশো বছর ধরে এই ট্রাডিশন চলে আসছে। বংশপরমপরা ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। তিনি আরও বলেছেন, বহু বছর আগে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে কিছু সমস্যার কারণের পরেই আমরা হ্যাজাক লাইট ব্যাবহার করে আসছি।
মূলত, বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় হ্যাচাক লাইটের (lantern light) আলোতেই আলোকিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। অন্ধকার পরিবেশেই পুজোর আচার পালন করেন পরিবারের সদস্যরা। এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন সংগ্রহ করেন নৈবেদ্য, হোমের কাঠ ও পুজোর অন্যান্য সামগ্রী। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পরিবার সদস্যরা ফিরে আসেন এই ঐতিহ্যের টানে, হারানো জমিদারবাড়ির স্মৃতি খুঁজে বেড়ান মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনার (Jagaddhatri Puja) মাধ্যমে। শুধু পারিবারিক পুজো নয়, বামেরা গ্রামে এই পুজো আজও মানুষের মিলনমেলা। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন এই ঐতিহ্যবাহী দেবী আরাধনায়।
দেখুন অন্য খবর :







