সূত্রের দাবি, বাংলায় SIR-এর নামে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদেই এই সভার আয়োজন। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছিলেন, বাংলায় SIR চালু হলে এক কোটিরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়বে। এই মন্তব্য নিয়েই এখন নতুন করে উত্তাল রাজনীতি।
আরও পড়ুন: এবার আমার পাড়া আমার সমাধান প্রকল্পে রেকর্ড করল নদিয়া জেলা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, “বাংলা থেকে এক জনেরও নাম বাদ গেলে বুঝে নেব।” নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহকেও একহাত নেন। মমতার কটাক্ষ, “আগুন নিয়ে খেলবেন না। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়—যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সময় হলে সব বলব।”
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানেন, পরের ভোটে হার অনিবার্য। তাই SIR আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমরা চাই অনুপ্রবেশকারীহীন ভোটার তালিকা।”
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, “বিজেপির বক্তব্যই পরস্পরবিরোধী। ২০১৪ পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না, CAA বলেছে তাই। তাহলে ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি অনুপ্রবেশকারী ঢুকল কীভাবে? BSF তখন কী করছিল?”
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল যদি শহিদ মিনারে সভা করে, নির্বাচন কমিশন তার জবাব দেবে।বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন চর্চা—SIR ইস্যু নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি যে আরও তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই যায়।