ওয়েব ডেস্ক: বিহারের ভোটার তালিকায় (Bihar Voter List) নিবিড় সমীক্ষার পর পর নাম তোলার হিড়িক পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলিতে। নাম তোলার হিড়িকে একেক দিনে গুচ্ছগুচ্ছ আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু যে সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছিল তার ৪০ শতাংশই বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন (Election Commission ) সূত্রের খবর। যেগুলো গ্রাহ্য হয়েছে এ বারও সেগুলো খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
বিহারের SIR আতঙ্ক বঙ্গের সীমান্ত জেলায়। বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়ায় ঘুম ছুটেছে এ রাজ্যেও। বিহারের ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষার পরেপরে নাম তোলার হিড়িক পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলিতে। নাম তোলার হিড়িকে একেক দিনে গুচ্ছগুচ্ছ আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু যে সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছিল তার ৪০ শতাংশই বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। কমিশনের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে ৭ অগস্টের মধ্যে ১০ লক্ষ ৪ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৬ লক্ষ ৫ হাজার লাখ আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে। বাতিল হয়েছে ৩৯ হাজার ভোট। অর্থাৎ, ৪০.২৩ শতাংশ আবেদনই বাতিল করা হয়েছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ভুয়ো নথি পেশ করার কারণেই সেগুলি বাতিল হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ঘুষ! ভাইরাল স্ক্রিনশট, চর্চায় যোগীরাজ্যের পুলিশ
এক নজরে শতাংশে বাতিল আবেদন
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪৪.৬৮ শতাংশ
উত্তর দিনাজপুর ৪৪.৮১ শতাংশ
মুর্শিদাবাদ ৫৬.৪৪ শতাংশ
কোচবিহার ৪৪.৮৩ শতাংশ
মালদা ৪১.২৫ শতাংশ
নদিয়া ৪২.১১ শতাংশ
বিহারে নিবিড় সংশোধন শুরুর পরে এ রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলির ভোটার তালিকায় নাম তোলার হিড়িক এক ধাক্কায় ৩ গুণ বেড়ে যায়। যেখানে সাধারণভাবে সপ্তাহে ২০-২৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে না সেখানে নাম তোলার হুড়োহুড়িতে সংখ্যাটা ৭৫ হাজারে ঠেকে। মূলত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনাতেই বেশি ছিল ওই প্রবণতা। ১০ সেপ্টেম্বর সমস্ত রাজ্যের সিইওকে দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগে রাজ্যের ভোটার তালিকা পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক সিইও দফতরে।
অন্য খবর দেখুন