ওয়েব ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে রোমান্টিক সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। তবে বিষয়টি কোথায় সবচেয়ে বেশি? সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। মেক্সিকোর (Mexico) পরেই দ্বিতীয় স্থানে ভারত। ইউগভের সহযোগিতায় ১১টি দেশে পরিচালিত এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মোট ১৩,৫৮১ জন প্রাপ্তবয়স্ক (Office Romance)।
ভারতে প্রতি ১০ জনে ৪ জনের রয়েছে অফিস রোমান্স! বিভিন্ন সংস্থায় কর্মক্ষেত্র আচরণবিধি কঠোর হলেও ভারতে অফিস প্রেম যে রীতিমতো সাধারণ, তা স্পষ্ট। সাধারণ ভারতীয়দের ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা কখনও না কখনও সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অথবা বর্তমানে যুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: ১৮০ বছরের ঐতিহ্য! যমরাজের পুজোয় আজও মেতে ওঠে এই শহর
তালিকার শীর্ষে মেক্সিকো, যেখানে এই হার ৪৩ শতাংশ। তুলনায় আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও কানাডায় অফিস রোমান্সের হার ৩০ শতাংশের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। পুরুষরা এগিয়ে, পেশাগত ক্ষতির ভয় নারীদেরসমীক্ষায় উঠে এসেছে স্পষ্ট লিঙ্গ–বৈষম্য। ৫১% পুরুষ জানিয়েছেন তাঁরা কর্মক্ষেত্রে ডেট করেছেন।সেই জায়গায় নারীদের হার ৩৬%।
নারীরা আশঙ্কা করেন, অফিসের সম্পর্ক পেশাগত ক্ষতির কারণ হতে পারে—এমন মনে করেন ২৯ শতাংশ নারী। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ পুরুষ ব্যক্তিগত ক্ষতির ভয়কে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৮–২৪ বছরের কর্মীরা বেশি সতর্ক। তরুণ কর্মীরা অফিস রোমান্স নিয়ে তুলনামূলক বেশি সাবধানী। এই বয়সের ৩৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, কর্মস্থলের সম্পর্ক ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে।
অফিস রোমান্সে শীর্ষ ৫ দেশ (সমীক্ষা অনুযায়ী)
১. মেক্সিকো
৪৩% মানুষের অভিজ্ঞতা আছে অফিস রোমান্সের। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, রিমোট ওয়ার্ক—এই দুই কারণে ব্যক্তিগত ও পেশাগত সীমারেখা তুলনামূলকভাবে অস্পষ্ট।
২. ভারত
৪০% কর্মীর স্বীকারোক্তি—অফিসেই প্রেম। কঠোর নীতিমালাও এ প্রবণতা ঠেকাতে পারছে না।
৩. আমেরিকা
প্রায় ৩০% কর্মী জানিয়েছেন অফিসে রোমান্টিক সম্পর্কের কথা। বিষয়টি সাংস্কৃতিকভাবে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হলেও অনেক সংস্থা এই নিয়ে স্পষ্ট HR নীতি তৈরি করছে।
৪. ইংল্যান্ড
প্রায় এক–তৃতীয়াংশ কর্মীর অভিজ্ঞতা রয়েছে। পক্ষপাতিত্ব, গোপনীয়তা ইত্যাদি নিয়ে সংস্থাগুলো বেশ সচেতন।
৫. কানাডা
এখানেও ৩০% কর্মী অফিস রোমান্সে যুক্ত। সম্পর্ক তৈরি হওয়া স্বাভাবিক হলেও উৎপাদনশীলতা কমার আশঙ্কায় সংস্থাগুলো নীতি আরও কঠোর করছে।
দেখুন আরও খবর:







