Friday, October 31, 2025
HomeScrollভারত-আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষর হল প্রতিরক্ষা চুক্তি!
India-US defense agreement

ভারত-আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষর হল প্রতিরক্ষা চুক্তি!

আগামী ১০ বছরের জন্য এই চুক্তি সাক্ষর হয়েছে!

ওয়েব ডেস্ক : ভারত-আমেরিকার মধ্যে হল প্রতিরক্ষা চুক্তি (India-US defense agreement)। বাণিজ্যচুক্তির আগেই হয়ে গেল এই চুক্তি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, দুই দেশের মধ্যে তাহলে কি ধীরে ধীরে বরফ গলছে? আগামী ১০ বছরের জন্য এই চুক্তি সাক্ষর করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ (Pete Hegseth)।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর পিট হেগসেথ (Pete Hegseth) এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমি ১০ বছরের মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সবেমাত্র রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রতিরোধের জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর। আমরা আমাদের সমন্বয়, তথ্য আদান-প্রদান এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করছি। আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কখনোই এর চেয়ে শক্তিশালী ছিল না।’

আরও খবর :  গাড়িতে প্রস্রাব করায় প্রতিবাদ! কানাডায় খুন ভারতীয় ব্যবসায়ী

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছিল। তার পরেই মালয়েশিয়ায় দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এফ৪০৪ ইঞ্জিন। যার ডেলিভারিতে দেরির কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তুলে দিতে পারছে না হ্যাল (HAL)। আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে এই বিষয় নিয়ে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) জোর দেন বলে সূত্রের খবর।

এ নিয়ে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘কুয়ালালামপুরে পিটার হেগসেথের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা ১০ বছরের ‘মার্কিন-ভারত প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের কাঠামো’ স্বাক্ষর করেছি। এটি আমাদের ইতিমধ্যেই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। এই প্রতিরক্ষা কাঠামো ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সমগ্র পরিসরে নীতিগত দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অভিন্নতার একটি সংকেত এবং অংশীদারিত্বের একটি নতুন দশকের সূচনা করবে। প্রতিরক্ষা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি প্রধান স্তম্ভ হিসেবে থাকবে। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং নিয়ম-ভিত্তিক ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News