ওয়েব ডেস্ক: সংঘর্ষবিরতির কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফের সীমান্তে উসকানি দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যের পাশাপাশি গুজরাটের আকাশেও দেখা গেল পাক ড্রোন। কচ্ছ উপকূল-সহ একাধিক এলাকা ব্ল্যাকআউট। সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার পরই অমৃতসর কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল। জ্বালানো হয়েছিল শহরের আলো, খুলেছিল দোকানপাট। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছিল। এরপরই চোরের মতো হামলা চালালো পাকিস্তান। পাক হামলার পর অমৃতসরের সম্পূর্ণ আলো নিভিয়ে ব্ল্যাকআউট করা হয়।
সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা লক্ষ্য করে ফের গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। জম্মুতে গুলিবর্ষণ, ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
জম্মু, উধমপুর-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ ব্ল্যাকআউট গোটা জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থানের একাধিক এলাকা। পালটা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অন্য রাজ্যগুলিতেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয় শনিবার রাতে। রাজস্থানের বারমেঢ়, জৈসলমের এবং পঞ্জাবের ফিরোজপুর, অমৃতসর, পঠানকোট, মোগায় ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।
ফোনে মিনতি করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত। শনিবার বিকেলেই ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না। সমস্ত রকমের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকবে দুই দেশ। কিন্ত কথায় আছে স্বভাব যায় না মোলে। পাকিস্তানের হচ্ছে তাই অবস্থা। সংঘর্ষ বিরতির লঙ্ঘনের কয়েক ঘণ্টার পরই নিজেদের আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, পঞ্জাবের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন হামলা চালায়। এরপর পাকিস্তানকে ‘দায়িত্বশীল’ আচরণের বার্তা দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর (Vikram Misri)। অস্ত্রবিরতির পরেও পাক হামলা নিয়ে কড়া বিবৃতি দিল ভারত। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আমরা আশা করছি পাকিস্তান এই পরিস্থিতিকে সঠিক ভাবে অনুধাবন করবে। এই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। ভারতীয় সেনা এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। কোনও ধরনের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন প্রতিহত করতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেখুন ভিডিও