ওয়েবডেস্ক– মর্মান্তিক! প্রতিবেশীর মিথ্যা (False allegations) যৌন নির্যাতনে (Molestation Case) মামলায় চরম অপমানিত ও অবসাদে ভুগে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে ৬ পাতার সুইসাইড নোট। মৃতের বীরেন্দ্র যাদব (Virendra Yadav) । লখনউতে (Lucknow) মানক নগর এলাকায় বেকারি চালাতেন বীরেন্দ্র যাদব।
ঘরের বাইরে র্যাম্প তৈরি নিয়ে বীরেন্দ্র তার প্রতিবেশী সুরজিৎ যাদব এবং তার স্ত্রী অনিতার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। বীরেন্দ্র যাদব এই কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন, তার পরেই বীরেন্দ্র সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করে ওই প্রতিবেশী। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে বিরোধটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রতিবেশীরা নির্মাণকাজ চালিয়ে যান।
এদিকে বীরেন্দ্র যাদবের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেন। মিথ্যা মামলায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বীরেন্দ্র। মৃত্যু আগে তিনি ৬ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গেছেন। পুলিশ সেই নোট উদ্ধার করেছে। বীরেন্দ্রর পরিবারের অনুমান যৌন নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় খুব অপমানিত হয়েছিলেন তিনি। পুরো ভেঙে পড়েন। সব সময় তিনি মনে করতে থাকেন কীভাবে তিনি সমাজে মুখ দেখাবেন। মেয়ের বিয়ে নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েন, তার পরেই মর্মান্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- ভয়ে কাঁপবে পাকিস্তান! ভারতের হাতে এবার অদৃশ্য মারণাস্ত্র ‘অগ্নি প্রাইম’
পুলিশ সূত্রে খবর, মিথ্যা মামলায় বীরেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী নীলমকে সমন পাঠানো হয়েছিল। দুজনেই খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সমাজে মান, সম্মান, অপমানের কথা ভেবে বীরেন্দ্র অবসাদে ভুগতে থাকে।
বীরেন্দ্র ভাবতে থাকেন, তাদের পুরো পরিবার সমাজের সামনে আর মুখ দেখাতে পারবে না। তাঁরা সব থেকে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন মেয়ের বিয়ে নিয়ে। বীরেন্দ্রর ভাবতে থাকেন, তাঁকে যদি জেলে যেতে হয়, তাদের মেয়েকে আর কেউ বিয়ে করবে না। এই অপমান এবং ভয়ের ভারে অবসাদে ডুবে যায় সে। এর পরে বিষ খেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন বীরেন্দ্র। সুই সাইড নোটে বীরেন্দ্র তার প্রতিবেশীদের হুমকি, অপমান, লাঞ্ছনা সব কিছু লিখে গেছেন।
বীরেন্দ্রর আরও অভিযোগ, যখন তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন, পুলিশ অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েই কথা বলেছিল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ সেই রাতেই বীরেন্দ্র দেহ দাহ করতে বাধ্য করে।
উল্লেখ্য, সুরজিৎ এবং অনিতা যাদবের কীর্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রতিবেশীরা। সুরজিৎ এবং অনিতা যাদবের দ্বারা কেবল বীরেন্দ্র যাদব এবং তার পরিবারই হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন , এমনটা নয়। শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ ওই দম্পতি আরও একাধিক প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে এনেছিলেন।
আরেক প্রতিবেশী অমৃতা যাদবের অভিযোগ, দম্পতি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করে ওই প্রতিবেশী দম্পতি। তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং কিছুক্ষণ পরেই মারা যান। এদিকে, ওই এলাকারই বাসিন্দা নরেন্দ্র যাদব বলেন, দম্পতির হয়রানির পর মানসিক চাপের কারণে তার স্ত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এবং তিনি মারা যান।
দেখুন আরও খবর-