ওয়েব ডেস্ক : শনিবার চীনের তিয়ানজিয়ানে এসসিও শীর্ষক সম্মেলনে (SCO Summit) যোগ দিতে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (XI Jinping)-এর সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। সাত বছর পরেই এটাই হল মোদির প্রথম চীন সফর। এই সম্মেলন থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে ভারতের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ২০২৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান। মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্বকে সমর্থনের পূর্ণ আশ্বাস দেন জিনপিং।
জানা যাচ্ছে, দুই রাষ্ট্র নেতার বৈঠকে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভালো প্রতিবেসীসুলভ সম্পর্ক স্থাপনের উপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, ‘ড্রাগন ও হাতিকে এক হতে হবে।’ শুল্ক যুদ্ধের মাঝে চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্য বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও খবর : চীনে এসসিও বৈঠকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই নেতা একমত হয়েছেন যে দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বী নন, উন্নয়নের অংশীদার। অন্যদিকে, মোদি, জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। মার্কিন শুল্ক চাপের মাঝে এই নতুন বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলেও পারদ চড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে আমেরিকার তরফে। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাশপাশি বিরল খনিজ রপ্তানি না করলে চীনের উপরেও ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি। ফলে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। একদিকে যেমন গ্লোবাল সাউথ আমারিকার এই আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মোদি ও জিনপিং-এর মধ্যে বন্ধুত্বের বার্তা ভাঁজ ফেলতে পারে আমেরিকার কপালেও।
দেখুন অন্য খবর :