কলকাতা: অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন নৈহাটির (Naihati) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সনৎ দে। বুধবার সকালে একটি অজানা নম্বর থেকে তাঁর ফোনে আসে একাধিক অশ্লীল ও কুরুচিকর মেসেজ। সেই মেসেজেই বিধায়ককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আচমকা এমন বার্তা পেয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েন সনৎবাবু। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান নৈহাটি থানাকে। পুলিশের পরামর্শে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত নম্বরটিও উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি জানানো হয়েছে বিধানসভার সচিবালয়েও।
বিধায়ক জানান, তিনি পুলিশের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন এবং আশা করছেন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত শেষ হবে। কে বা কারা এমন বার্তা পাঠাল এবং উদ্দেশ্য কী—তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি থানার তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে নম্বরটির মালিকানা ও সম্ভাব্য অবস্থান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে সাইবার সেলের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানান আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ রাস্তা তৈরি নিয়ে নতুন নির্দেশ দিল নবান্ন!
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পার্থ ভৌমিক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রটি শূন্য হয়। সেই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করে সনৎ দে-কে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সমর্থনে তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের কর্তাদের ভিডিও বার্তা ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি। রাজনৈতিক প্রার্থীর হয়ে ক্লাবকর্তাদের এমন সরাসরি প্রচার অতীতে নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। তবে সমস্ত বিতর্ককে পিছনে ফেলে উপনির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পান সনৎ দে। ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নৈহাটির সর্বকালীন সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হন তিনি।
সেই বিধায়ককে লক্ষ্য করেই হুমকি বার্তা, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপর পুলিশ। তদন্তকারীদের আশা, দ্রুতই চিহ্নিত করা যাবে দোষীকে এবং সামনে আসবে হুমকির নেপথ্যের উদ্দেশ্য।
দেখুন আরও খবর:







