নয়াদিল্লি: কাজের সময় পেরিয়ে গেলে অফিসের ফোনকল বা ইমেল নয়। লোকসভায় পেশ হল নয়া বিল। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হল একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল। যেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে কর্মীদের অফিস টাইমের পর কাজের জন্য আর ফোন বা ইমেল করা যাবে না। বিল পাশ হলেই অফিস শেষ করার বস ফোন করলে তা কেটে দেওয়ার অধিকার পেয়ে যাবেন ভারতীয়রা।
বর্তমানে অতিরিক্ত কাজে চাপে চাকুরিজীবীদের অনেকে মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আফার কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন বা অফিসের কাজ সেরে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন! এমন সময়ে সেই কর্মীর কাছে অফিস থেকে এল ফোন। বা ইমেল পাঠিয়ে কোনও কাজের নির্দেশ দেওয়া হল। এর জেরে চাকরিজীবীদের ব্যক্তিগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর কারণ বেসরকারি কর্মীরা কঠিন টার্গেট পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কাজের সময়ের বাইরেও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কর্মী হেনস্থার অবসানে উদ্যোগী হলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয় সুলে। শুক্রবার লোকসভায় ‘রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল, ২০২৫’ (Right to Disconnect Bill 2025) পেশ করলেন তিনি। লোকসভা এবং রাজ্যসভা সদস্যরা এমন বিষয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিল পেশ করতে পারেন, যদি তাঁদের মনে হয় সেই বিষয়ে সরকারি আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, অফিসের কাজের সময় শেষ হলে কর্মীকে যাতে কর্মক্ষেত্রের ফোন ধরতে বা ইমেল দেখতে না হয়, সেই অধিকার নিশ্চিত করা হোক। বিলে আরও বলা হয়েছে, অফিসের কাজ শেষ হলে কর্মীদের ‘ব্যক্তিগত সময়’ হয়। ছুটির দিনেও পুরো সময়টাই কর্মীর ‘ব্যক্তিগত’। সে সময় অফিসের ফোন না ধরার বা ইমেল না দেখার অধিকার রয়েছে তাঁর। কর্মীদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হোক বলে বিলে দাবি করেছেন সুলে। আরও একটি ‘প্রাইভেট মেম্বার’স বিল’ পেশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ কাদিয়াম কাব্য। সেটি হল মেন্সট্রুয়াল বেনিফিটস বিল, ২০২৪। এর লক্ষ্য হল ঋতুস্রাবের সময় কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।
দেখুন ভিডিও








