Wednesday, September 10, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScroll'প্রতিবাদের নামে লুটপাট, ভাঙচুর বরদাস্ত নয়', কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের
Nepal Gen Z Protest

‘প্রতিবাদের নামে লুটপাট, ভাঙচুর বরদাস্ত নয়’, কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের

আন্দোলনে মৃতদের 'শহিদ' ঘোষণা করা হোক, দাবি Gen Z বিক্ষোভকারীদের

ওয়েব ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও উত্তাল নেপালের পরিস্থিতি। নেপালের গণ-আন্দোলন (Nepal Gen Z Protest) যেন অন্য রূপ নিয়েছে। অনেকেরই মনে পড়ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা। বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। প্রতিবাদের নামে চলছে লুটপাট, অত্যাচার। সেই প্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দিয়েছে সেনাবাহিনী।

নেপালের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে,পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। নেপালে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফুর মেয়াদ বাড়ান হয়েছে, জানাল নেপাল আর্মি। জানা গেছে, নেপালের সেনাপ্রধানের (Nepal Army Chief) সঙ্গে মধ্যরাতে আলোচনায় বসেছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তাঁদের দাবিদাওয়া শোনেন সেনাপ্রধান। সেই প্রেক্ষিতে বুধবারই রাষ্ট্রপতি (President) রামচন্দ্র পৌডেলের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনা হতে পারে। প্রতিবাদীদের কড়া বার্তা দিয়ে সেনা স্পষ্ট করেছে, কোনওরকম ভাঙচুর, লুটপাট বা হামলা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বাহিনী।

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নেপালে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা সেনার

সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, “আমরা আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন করছি, অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ করুন এবং আলোচনায় বসুন। এখন প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ সমাধান, ঐতিহাসিক ও জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা।” পাশাপাশি তিনি শোকপ্রকাশ করেন নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি। তাঁর কথায়, “নেপালের ইতিহাস জুড়ে সেনা সবসময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা সেই দায়িত্বে অবিচল।”
বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর ও সরকারি সচিবালয়। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবার গাড়ি যেমন অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়িকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা।

সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়েছে, Gen Z আন্দোলনে মৃতদের সরকারিভাবে ‘শহিদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। শহিদ পরিবারগুলিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান, অভ্যর্থনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের জন্য দেশছাড়া হওয়া এবং সামাজিক অবিচার দূর করতে বিশেষ কর্মসূচি আনা হবে। এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির জন্য নয়, বরং গোটা প্রজন্ম ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News