Thursday, September 11, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollনয়াদিল্লির প্রশংসায় সুশীলা,মোদজি অনুপ্রেরণা,ভারতকে পাশে চাইলেন হবু প্রধানমন্ত্রী
Sushila Karki

নয়াদিল্লির প্রশংসায় সুশীলা,মোদজি অনুপ্রেরণা,ভারতকে পাশে চাইলেন হবু প্রধানমন্ত্রী

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে সুশীলাকেই সমর্থন বলেন্দ্রর

ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ নেপালের পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সেনার হাতে নেপাল। দেশ চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হল সুশীলা কারকিকে। গণ-আন্দোলনের মধ্যেই ৭১ বছর বয়সি এই আইনজ্ঞকে নেতৃত্বের জন্য বেছে নিয়েছেন জেন-জি প্রতিবাদে (Gen z movement) সামনের সারিতে থাকা তরুণ প্রজন্ম। নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে (Former Chief Justice of Nepal Sushila Karki) ই চান কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ। বুধবার রাতে তিনি সমাজমাধ্যমে কারকিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। তিনি সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেন, ভারত বরাবরই আমাকে বোনের মতো দেখেছে, আমি মোদিজিকে নমস্কার করতে চাই। আমার কাছে মোদিজির একটা ভালো ভাবমূর্তি আছে।’বৃহস্পতিবার নেপালের সেনাপ্রধান ও সুশীলা কার্কির বৈঠক হচ্ছে। তাঁরা বৈঠকের পরে দুজনেই দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। রাষ্ট্রপতিকে বর্তমানে জনরোষের কবল থেকে বাঁচাতে সেনা ব্যারাকে রাখা হয়েছে।

একটি সাক্ষাত্‍কারে কার্কি জানালেন, তিনি নেপালের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। Gen Z গোষ্ঠী আমার উপর ভরসা রেখেছে। কম দিনের জন্য হলেও একটি স্থায়ী সরকার গঠনে গুরুদায়িত্ব। কার্কির কথায়, ‘আমার প্রাথমিক কর্তব্য হবে, সেই সব বিক্ষোভকারীদের প্রতি সম্মান জানানো, যাঁরা প্রাণ দিলেন। আমার প্রথম কাজ হবে এই প্রতিবাদে মৃতদের পরিবারগুলির জন্য কিছু করা।’নেপালের পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ভারতকে ভীষণ সম্মান করি। ভালোবাসি ভারতকে। মোদিজির কাজে আমি অনুপ্রাণিত। ভারত বরাবর নেপালে অনেক সাহায্য করেছে।’নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, শুরু থেকেই সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে গিয়েছে। আমরা নেপালের উন্নয়নের জন্য কাজ করব। দেশকে নতুন ভাবে গড়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ নেই….অনেকদিন ধরেই। আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। যখন দু’দেশের মধ্যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন কয়েকজন একইসঙ্গে বসেন। আর নীতি তৈরি করেন।’ “ভারতের নেতারা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে। সুশীলা কার্কি ভারত ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) স্মৃতিচারণ করেছেন। সত্তরের দশকে তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনও আমার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বন্ধুদের কথা মনে আছে। আমার এখনও গঙ্গা নদীর কথা মনে আছে।

আরও পড়ুন: জেন-জি বিক্ষোভে নেপালে মৃত ৩০, আহতের সংখ্যা ছাড়াল হাজার! জারি কার্ফু

ভারত-নেপাল সম্পর্কের (India-Nepal Relations) বিষয়ে সুশীলা বলেছেন, ‘সবসময় নেপালকে সাহায্য করেছে ভারত। আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সুশীলা বলেন, “তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ব্যাপারটা আলাদা বিষয়। ‘তবে নেপালের মানুষ এবং ভারতের মানুষের দুর্দান্ত সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কটা অত্যন্ত ভালো। আমাদের প্রচুর আত্মীয়-স্বজন, আমাদের প্রচুর পরিচিত লোকজন…আমাদের অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আছে।’ভারতের নেতারা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে। সেইসঙ্গে নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর বাড়ি যেখানে, সেখান থেকে ভারতের দূরত্ব মেরেকেটে ২৫ মাইল। নিয়মিত সীমান্তের বাজারেও যেতেন। তাঁর সেই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতদিন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যে কেপি শর্মা ওলি ছিলেন, তিনি চিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকী ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছিলেন। সেখান থেকে সুশীলা যে বার্তা দিলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

৭২ বছর বয়সি সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী তাঁকে এই পদে নিয়োগ করেন। দুর্নীতি-বিরোধী কঠোর অবস্থান এবং নির্ভীক রায়ের জন্য তিনি সুপরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে এক মন্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছিল। নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকেই চান কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ। বুধবার রাতে তিনি সমাজমাধ্যমে কারকিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। কেপি শর্মা ওলির পতনের অন্তর্বতী নেতা হিসাবে প্রাথমিকভাবে বলেন্দ্রর নামই উঠছিল। কিন্তু জানা যায়, আন্দোলনকারীদের তরফে তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। রাতেই নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করলেন কাঠমান্ডুর মেয়র। একটি পোস্টে বলেন্দ্র লেখেন, ‘দেশ এবার সোনালী ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জেন জি-সহ নেপালের সকল নাগরিককে দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য ধরুন। নেপাল একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে, যা দেশের নতুন নির্বাচন পরিচালনা করবে। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে আপনারা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম প্রস্তাব করেছেন।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News