ওয়েব ডেস্ক: কাশির সিরাপ (Cough Syrup) কোল্ডরিফ (Coldrif) খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্য সামনে আনল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতি শিশি সিরাপ বিক্রিতে চিকিৎসকদের দেওয়া হতো ১০ শতাংশ কমিশন!
২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয় কাশির সিরাপ কোল্ডরিফ সেবনের পর। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সিরাপ তৈরি করত তামিলনাড়ুর শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস। সূত্রের খবর, সংস্থাটি চিকিৎসকদের প্রলোভন দেখাতে কমিশন দিত প্রতি বোতলে খুচরো দামের ১০ শতাংশ হারে। তদন্তকারীদের দাবি, চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে কোল্ডরিফ লিখলেই কমিশনের টাকা পৌঁছে যেত তাঁদের কাছে। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক চিকিৎসক যুক্ত থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা পুলিশের।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে জমি মামলার রায় সকলের জন্য নয়, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন চিকিৎসক প্রবীণ সোনি। অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ সরকার ২০২৩ সালেই চার বছরের কম বয়সি শিশুদের ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডা. সোনি নিয়মিতভাবে কোল্ডরিফ প্রেসক্রাইব করতেন।
পুলিশের ধারণা, ওই চিকিৎসকের পরিবারের কেউ হয়তো সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সেই দিকেও তদন্ত চালানো হচ্ছে। এছাড়া, রাজ্যের আরও বহু চিকিৎসক এই চক্রে জড়িত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের তালিকা তৈরি করছে তদন্তকারীরা এবং ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তদন্তের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিন্দওয়াড়ার পারাসিয়া ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার অঙ্কিত সেহলাম গত ৪ অক্টোবর অভিযোগ জানান যে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের কাশির জন্য কোল্ডরিফ সিরাপ দেওয়া হচ্ছে, যার পরেই দেখা দিচ্ছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আক্রান্ত শিশুরা প্রস্রাবে অসুবিধা, কিডনির সমস্যা, এবং রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখায়। নাগপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একাধিক শিশুর মৃত্যু হলে তৎপর হয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মালিক রঙ্গনাথনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। পাশাপাশি কোল্ডরিফ-এর স্টকিস্ট ও হোলসেলারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
দেখুন আরও পড়ুন: